কলকাতা, 25 জানুয়ারি: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে লিখিত চাঞ্চল্যকর তথ্য এসে পৌঁছালো ।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনের মাধ্যমেই খোলা হয়েছিল একাধিক সেল বা ভুয়ো কোম্পানি । পাশাপাশি একাধিক প্রমোটিংয়ের কাজকর্ম করে শিক্ষা দুর্নীতির কোটি কোটি কালো টাকা সাদা টাকায় পরিণত করা হয়েছিল । এই পরিকল্পনার মাথায় ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে লিখিতভাবে এই তথ্য তুলে দিয়েছেন একসময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের প্রোমোটার রাজীব দে ।
বুধবার রাজীব দে-কে শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিলেন । সেই মতো রাজীব দে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সেখানে পৌঁছে যান । রাজীব দে-কে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ । ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক তথ্য প্রথমে মৌখিকভাবে জানান প্রোমোটার রাজীব দে । এরপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে তা লিখিত আকারে তুলে দেন ।
ইডি সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারির পর তাঁর ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের একাধিক কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায় । শুধু কলকাতা বা কলকাতা সংলগ্ন শহরতলিতে সম্পত্তি নয়, বরং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাঁদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি । সেই সকল সম্পত্তির সিংহভাগ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ইডি ।
পাশাপাশি শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ফাইনাল চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়েছে । যে চারটি চার্জশিট ইডির তরফ থেকে পেশ করা হয়েছে, তার সবগুলিতেই নাম রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম । তদন্তকারীরা তদন্ত নেমে জানতে পেরেছিলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই সময়ে রাজীব দে নামে একজন প্রোমোটারের সুসম্পর্ক ছিল । ফলে এই রাজীব দে-কে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে এই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । ইডি সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে-বেনামে যে সকল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে এবং যেগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, তার বাইরেও কোটি কোটি টাকা সম্পত্তি এখনও অপ্রকাশ্য অবস্থায় রয়েছে ।