কেতুগ্রাম, 13 মে: ভোটের আগের রাত অর্থাৎ রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে তৃণমূল কর্মী খুনে প্রাথমিক পুলিশ রিপোর্ট এসে পৌঁছয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। পুরনো শত্রুতার কথা উল্লেখ রয়েছে সেই রিপোর্টে। কমিশন সূত্রে খবর, যে রিপোর্ট এসেছে তাতে বলা হয়েছে, মিন্টু শেখ একসময় আনারুল শেখের হয়ে কাজ করতেন।
গতকাল রাত 8টা 45 নাগাদ চেঁচুড়ি গ্রামে আনকোনা জিপি হয়ে মোটরবাইকে করে আসার সময় দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মীর ৷ প্রথমে মিন্টু শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ ওঠে ৷ তারপর তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারারও অভিযোগ ওঠে ৷ ধারালো অস্ত্রের কোপ ও বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মিন্টু শেখ। পুলিশ এসে মিন্টু শেখকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ভুলন শেখ ও শামসুর শেখ নামে দু'জন গ্রামবাসীকে আটক করা হয়েছে। পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া ৷
কেতুগ্রাম থানার আইসি-সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৷ স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মিন্টুর দেহ পাঠানো হয়েছে। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ এনিয়ে আঙুল তুলেছেন সিপিএমের বিরুদ্ধে ৷ সিপিএমের এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, এ ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ঘটেছে ৷ এনিয়ে বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ জানান, মিন্টু 2011 সাল থেকে তৃণমূল করত ৷ তাকে গতকাল সন্ধেয় নৃশংশভাবে হত্যা করা হয় ৷ সিপিএম এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷
সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, "সিপিএম এই খুন-সন্ত্রাস বিশ্বাস করে না ৷ আর সে ক্ষমতাও তাদের নেই ৷ তৃণমূল কংগ্রেস তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য় চরিতার্থ করতে অভিযোগ করতেই পারে ৷ কিন্তু পরিবারের লোকজন কী বলছে সেটাই প্রধান ৷ আমি যতদূর শুনেছি মিন্টু শেখ কিছুদিন ধরে তৃণমূল থেকে নিজেকে বিরত রাখছিলেন ৷ কিন্তু তৃণমূলের যারা ক্ষমতাশীল ছিলেন তাঁদের মিন্টুর ওপর রাগ ছিল ৷ তাই গোষ্ঠীদ্বন্দের কারণের তাঁকে খুন হতে হল ৷ মিন্টুর স্ত্রী এলাকার সাত থেকে আটজন-সহ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির নাম করেছেন এই ঘটনায় ৷"
আরও পড়ুন: