কলকাতা, 22 মার্চ: আগামী 19 এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফায় ভোট। রাজ্যে নির্বাচন শুরু হবে উত্তরবঙ্গ থেকে। 19 তারিখ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে নির্বাচন হবে। প্রথম দফায় কতগুলি ভোট কেন্দ্র স্পর্শকাতর কিংবা এই তিন জেলার কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর তা চিহ্নিতকরণ করার কাজ শুরু করল নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে, শুক্রবার চার জেলায় জেলা শাসক নিযুক্ত করেছে কমিশন ৷ পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের জেলা শাসক নিয়োগ করা হয়েছে ৷ পূর্ব মেদিনীপুরে জ্যোশি দাশগুপ্ত, ঝাড়গ্রামে মৌমিতা গোদারা বসু, পূর্ব বর্ধমানে কে রাধিকা আইয়ার এবং বীরভূমে শশাঙ্ক শেঠিকে জেলা শাসক নিয়োগ করেছে কমিশন ৷
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে এই বিষয় স্পষ্ট করে জানানো হয়, একটি লোকসভা কেন্দ্রে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটের শতাংশ, বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং একটি কেন্দ্র মোটের উপর শান্তিপূর্ণ কি না, সেই বিষয় জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের থেকে রিপোর্ট জমা নেবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। প্রতিটি জেলার জেলা শাসকদের এই রিপোর্ট নিয়মিত কমিশনে পাঠাতে হচ্ছে। দৈনন্দিন রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হবে ৷ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হয় কমিশনের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি দিনহাটায় যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তারপর থেকে গোটা এলাকাকেই আপাতত স্পর্শকাতর হিসেবে দেখছে কমিশন। কোন কেন্দ্রে কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে সেই বিষয়টি নির্ধারণ করতে এই স্পর্শকাতর তালিকার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেই কমিশনের দাবি। তাই এই তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়।
আপাতত রাজ্যে রয়েছে 150 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই মোট বাহিনী সংখ্যার মধ্যে আলিপুরদুয়ারে মোতায়ন রয়েছে তিন কোম্পানি বাহিনী, কোচবিহারে রয়েছে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী এবং জলপাইগুড়িতে রয়েছে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রথম দফার জন্য সমস্ত বাহিনী রাজ্যে প্রবেশ করে যাবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন
'নির্বাচনে নাক গলাচ্ছেন রাজ্যপাল', কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
কৃষ্ণনগরের রানিমা দুর্নীতিগ্রস্থ, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট বিজেপি কর্মীদের