কলকাতা, 2 মে: আগামী 7 মে রাজ্যে তৃতীয় দফার নির্বাচন । নির্বাচন হবে রাজ্যের চারটি আসনে: মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে । তবে যেমনটা আগেই আন্দাজ করা হয়েছিল, সেই মতো মুর্শিদাবাদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় ।
তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় রয়েছে মুর্শিদাবাদের নির্বাচন । আর তার আগেই মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে । স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত নির্বাচন কমিশন । যদিও এর আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যে বৈঠকটি হয়েছিল, সেখানেই দিল্লির চিফ ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়ে দিয়েছিলেন যে সাইলেন্স পিরিয়ডের আগেই ওখানকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে ।
বৃহস্পতিবার তৃতীয় ও চতুর্থ দফার নির্বাচন নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় বৈঠক হয় । ফোর্স কোর কমিটির বৈঠক ডাকেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক । এ দিন বেলা সাড়ে 12টা থেকে শুরু হয় বৈঠক । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমার এবং সিএপিএফ-এর আইজি বিকে শর্মা । এছাড়াও জেলার ডিইও (ডিএম) ও এসপিরাও ছিলেন । বৈঠকে বিশেষ নজর ছিল মুর্শিদাবাদের দিকেই । কমিশন সূত্রে খবর যে বৈঠকে সমস্ত জেলা প্রশাসক এবং বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের জেলা প্রশাসককে জেলার যে স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে ।
বর্তমানে মুর্শিদাবাদের যেসব জায়গায় অশান্তি ছড়িয়েছে, সেইসব জায়গাগুলির ওপরে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চের দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে । পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে আতঙ্ক কাটিয়ে নির্বাচনের দিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারেন, সেই দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে । এক কথায় মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার বজায় রাখার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আগের দুই দফার মতোই যাতে রক্তপাতহীন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়, সেটাই এখন পাখির চোখ কমিশনের ।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফার নির্বাচনে চার কেন্দ্র মিলিয়ে 334 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে । মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে 144 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে । তৃতীয় দফায় মুর্শিদাবাদ জেলায় সব থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে । দুই আসনের জন্য 190 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । অন্যদিকে হাওড়ার বাঁকড়া ও নারকেলডাঙার ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন ।
আরও পড়ুন: