কলকাতা, 11 নভেম্বর: আচমকাই কলকাতা ও তার আশপাশের খোলা বাজারে পোলট্রি ডিম বিকোচ্ছে 16 টাকা জোড়ায়। দিন কয়েক আগেই দাম ছিল 12 থেকে 13 টাকা। সোমবার একলাফে তা বেড়ে হল 16 টাকা। দাম কেন বাড়ল তা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সমিতির কর্তারা। শুধু তাই নয়, আগামিদিনে দাম আরও বাড়ার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন তাঁরা।
পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল এগ কো-অর্ডিবেশন কমিটি আজ 100টি ডিমের দাম ধার্য করেছে 610 টাকা। অর্থাৎ এক একটি 6.10 পয়সা কেনা পড়ছে। তার নিয়ে যাওয়ার খরচ ধরলে সব মিলিয়ে 6.25 পয়সা। সেই হিসেবেই খোলা বাজারে দাম বেড়ে হয়েছে 15-16 টাকা জোড়া ৷
দ্য কলকাতা এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজল দত্ত বলেন, "অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা থেকেই আসে অধিকাংশ ডিম। রাজ্যে যে পরিমাণে ডিম হয় তা পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমানের চাহিদা মেটায়। বাকি ডিম আসে ওই দুই রাজ্য থেকে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা ডিমের দাম ঠিক করে একটি কমিটি। সেই দাম প্রতিদিন বদলাতে থাকে। কলকাতা ইচ্ছে করলেও তা বাড়াতে বা কমাতে পারে না। এখানে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে দাম আমরা নিয়ন্ত্রণ করতাম।"
তিনি আরও বলেন, " ডিমের ট্রে থেকে শুরু করে কার্টুন আনার খরচ বাড়ছে। শ্রমিকদের খরচ বাড়ছে । কেনা পড়ছে 6.35 টাকা। তবু কোনও কোনও জায়গায় 6.10 টাকায় বিক্রি হচ্ছে । তাতে খানিকটা ক্ষতিও হচ্ছে । কিন্ত বিক্রি করতে না পারলে ডিম পচে যাবে। তাই অনেকে ক্ষতি করে হলেও বিক্রি করছে। তবে যাঁরা 8 টাকায় বিক্রি করছেন তাঁরা অবশ্যই বেশি নিচ্ছেন।" এর পাশাপশি ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা।
তাঁর কথায়, "যেভাবে উৎপাদন খরচ ও পরিবহণ খরচ বাড়ছে তাতে ডিমের দাম বাড়বে আরও। কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ সারাবছর সমানভাবে ডিম আমদানি করে। তবে বাকি রাজ্যগুলিতে শীতকাল আচমকা ডিমের চাহিদা বাড়তে থাকে। জোগান কমে, ফলে দাম বেড়ে যায়। আমাদের রাজ্যেও শীতে চাহিদা বাড়ে। তার একটা প্রভাব পড়তেও পারে।" এখন দেখার ডিমের দাম বাড়ার ফলে রুটি বা এগরোল এবং চাউমিনের দাম বাড়ে কি না। একইভাবে শঙ্কা থাকছে ডিমের তৈরি জিনিস বা ছোট ছোট হোটেলে ডিম-ভাতের দাম বাড়তে পারে। বৃদ্ধি পেতে পারে কেকের দাম । ডিমের দাম বাড়ার প্রভাব পড়তে পারে মিড-ডে-মিলের উপরেও।