কলকাতা, 18 মে: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকের নথি চাইল শিক্ষা দফতর। শিক্ষকদের জমা দিতে হবে তাঁদের যাবতীয় নথিপত্র। তা দেখেই চলবে বাছাই পর্ব। শুধুমাত্র 2016 সালে নিয়োগ হওয়া নয়, বর্তমানে যে সকল শিক্ষকরা কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন তাঁদের সকলকেও নথি জমা করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এই নথি জমার জন্য আইএমওএস (iMOS)- নামে একটি পোর্টাল খোলা হয়েছে। সেখানে SSC data submission-এ গিয়ে নিজের নথি আপলোড করতে হবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে আগামী 27 মে'র মধ্যে। দিতে হবে এসএসসির শংসাপত্র, নিয়োগ পত্র, তার সঙ্গে বর্তমান চাকরির প্রমাণ পত্র।
এর ফলে 2016 সালের নিয়োগ ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতার একটি মীমাংসা হবে বলেই আশা যোগ্য শিক্ষকদের। নবম-দশমের শিক্ষিকা মৈত্রী সরকার বলেন, "এখন আমাদের মামলা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে ৷ ফলে খুব যে সুবিধা হবে তা নয় ৷ আমাদের নথি প্রায় 10 বার যাচাই করা হয়েছে। কিন্তু এই পদ্ধতির ফলে আবার একটা সেকেন্ড স্ক্যানিং হবে আমাদের। সেখানে যদি অযোগ্য কেউ থাকেন তাহলে তাঁকে সনাক্ত করতে সুবিধা হবে।"
শিক্ষক সুমন বিশ্বাস এদিন তাঁর সমস্ত নথি জমা দিয়ে আসেন প্রধান শিক্ষকের হাতে। তিনি বলেন, "এই বাছাইয়ের ফলে মেমো নম্বর নিয়ে যে জালিয়াতি হয়েছিল তাও ধরা পড়ে যাবে। আর আমাদের আরও একবার ভেরিফিকেশন হবে। ফলে দু'দিক থেকেই আমাদের সুবিধে। তবে সময়টা কম দেওয়া হয়েছে। অনেকেই বাইরে আছেন। আরও কিছু দিন সময় দেওয়া হলে ভালো হয়!"
অবসর সামনেই এমনও বহু শিক্ষক এই নথি জমা দিচ্ছেন। শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের নেতা কিঙ্কর অধিকারী জানান, জেলায় জেলায় সকল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন ডিআই। সকলকে কাঠগোড়ায় তোলার মধ্য দিয়ে জনমানসে সার্বিকভাবে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, সোমা রায় বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল, নিয়োগের অবৈধতা খুঁজতে জেলা পরিদর্শক বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। তা ডিজিটালাইজ করা হবে। তার প্রেক্ষিতেই দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তি। যদি কোনওভাবে এসএসসি থেকে নিয়োগ না পাওয়া শিক্ষক হয় তাহলে তাঁকে দিতে হবে অ্যাপ্রুভাল মেমো। সবকিছুই তাঁদেরকে জমা দিতে হবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে। তারপর তাঁরা ডিআইকে হার্ডকপি জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন