কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: জুটমিলে ভুয়ো ডিরেক্টর মামলার তদন্তে একাধিক জায়গায় হানা ইডি আধিকারিকদের ৷ মঙ্গলবার সকাল 7টার সময় সিজিও কমপ্লেক্স থেকে 3টি গাড়ি পরপর বেরিয়ে যায়। কলকাতার বালিগঞ্জে জুটমিলের মালিকের বাড়ি এবং কলকাতার কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে ‘ডেল্টা’ সংস্থার অফিসে এসে হাজির হন তদন্তকারীরা । কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া সাঁকরাইলেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।
জানা গিয়েছে, ডেল্টা লিমিটেড এবং ওলিসা রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড নামক দুই সংস্থার বিরুদ্ধে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সংস্থার তরফে তাঁদের প্রাপ্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দেওয়া হচ্ছে না । এই খাতে প্রায় 21 কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলাতেই দুই সংস্থার 5 জন ডিরেক্টরকে তলব করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও)-কে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন 5 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার। আর সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই আজ সকাল থেকেই তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় এসএফআইও-কে একটি অভিযোগ দায়ের জন্য থানায় অভিযোগ জানাতে বলেন। সেই মতো মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে ইডি। এই মামলাতে পিএফ দুর্নীতির মামলায় 'বড় বড় মাথা' যুক্ত রয়েছেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, "ওঁরা আমার বদলিও করে দিতে পারেন। কিন্তু আমি এ সব বরদাস্ত করব না।"
ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ মামলার তদন্তে এই তল্লাশি অভিযান। আগেই এই মামলায় ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই তারা আজ এই অভিযানে নেমেছে। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সোমবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায় ৷ তার 24 ঘণ্টা কাটাতে না-কাটতেই আরেকবার সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল ইডিকে।
আরও পড়ুন: