কলকাতা, 22 জানুয়ারি: সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি, ডিভিশন বেঞ্চের তরফে সব পক্ষকে মামলার নথি দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ।
ইডির তরফে এ দিন আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, "হামলার ঘটনায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সিবিআইয়ের এসপিকে যৌথভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । কিন্তু রাজ্য পুলিশ অতীতে বরাবর কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে । ফলে এই ক্ষেত্রে তদন্ত বিঘ্নিত হতে পারে । তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে । একইসঙ্গে তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ইডির। আর তাই প্রধান বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন ।"
সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত করতে গত 17 জানুয়ারি সিবিআই ও রাজ্যের আইপিএসদের নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট । আদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত চলবে বলে জানানো হয় । পাশাপাশি হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআইয়ের এসপি পদমর্যদার অফিসার । সিট কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সবরকম সহযোগিতা নেবে । তারা নিজেদের নিচুতলার অফিসারও নিয়োগ করতে পারবে । ন্যাজাট থানায় যে এফআইয়ার দায়ের হয়েছিল তার সত্যতা খতিয়ে দেখবে এই বিশেষ দল । পাশাপাশি হামলার বিষয়ে তদন্ত করবে ।
বর্তমানে ইসলামপুরে কর্মরত আইপিএস যশপ্রীত সিংকে এই টিমের জন্য নিয়োগ করে রাজ্য প্রশাসন। সিবিআইকে 18 জানুয়ারির মধ্যে তাদের অফিসার নিয়োগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ তবে এই নির্দেশের পরও সিবিআই এখনও তাদের আধিকারিকের নাম জানায়নি । বিচারপতি জানিয়েছিলেন, যদি আশানুরূপ ফল না পাওয়া যায় তাহলে কোর্ট এই টিম বদল করতে দ্বিধা করবে না । হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া যাবে না আদালতে । এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে এ দিন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি ।
উল্লেখ্য রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা । তাঁদের তিনজন আধিকারিককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । গাড়িতে ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে । আহত আধিকারিকদের হাসপাতালে পর্যন্ত ভরতি করতে হয় । অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান অবশ্য এখনও অধরা ।
আরও পড়ুন: