কলকাতা, 2 এপ্রিল: শেখ শাহজাহান বিভিন্ন ব্যবসায় নেমে 10 বছরে মোট 137 কোটি টাকা একাধিক ব্যাংকে ট্রান্সফার করেছিলেন । শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা তাঁর বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছেন । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে ৷
গতকালই শেখ শাহজাহানকে আদালতে পেশ করে ইডি দাবি করে যে, শাহজানের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে তাঁরা জানতে পেরেছেন, কোটি কোটি টাকা একাধিক মাছ ব্যবসায়ীর থেকে উপার্জন করেছেন সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা ৷ এরপর সেই টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন তিনি । এতদিন তিনি যে কোটি কোটি টাকা যে সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন, সেই সব অ্যাকাউন্টের বিষয়ে বিশদে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ।
গতকাল শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালত থেকে কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয় । সেখানেই তাঁর সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করতে থাকে ইডি । জানা যায়, শেখ শাহজাহান বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অ্যাকাউন্টে একাধিক সময় কোটি কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন । এছাড়াও শেখ শাহজাহান সন্দেশখালি এলাকাতে বিভিন্ন আদিবাসীদের জমি বলপূর্বক জবরদখল করতেন বলে জানতে পেরেছে ইডি ।
আগামী 13 এপ্রিল পর্যন্ত শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা । সূত্রের খবর, গতকাল রাত থেকেই শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা পর্ব শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা । তবে তাঁদের দাবি, যখন তাঁরা তাঁকে টেবিলে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন, সেই সময় একাধিক প্রশ্নের উত্তর সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন শাহজাহান ।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা উত্তর 24 পরগনার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছিলেন ৷ পাশাপাশি তাঁরা জানতে পারেন এই দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । পরে তাঁকেও গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা । এরপরেই তদন্ত নেমে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে পারেন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল । 5 জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল ইডির আধিকারিকদের ৷
আরও পড়ুন: