কলকাতা, 15 এপ্রিল: আর মাত্র ক'দিন বাকি ৷ আগামী শুক্রবার 19 এপ্রিল দেশজুড়ে প্রথম পর্বের লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। বাংলায় তিনটি আসনে ওই দিন নির্বাচন হবে- আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে। তাই ইতিমধ্যেই শেষ মুহূর্তের প্রচার সারছে শাসকদল থেকে বিরোধী শিবির।
প্রথম থেকেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনও ভাবেই হাতের বাইরে চলে না যায়, সে নিয়ে তৎপর নির্বাচন কমিশন। অনেক আগে থেকেই সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে সুষ্ঠ ভোট নিশ্চিন্ত করতে চাইছে কমিশন। শুধু বাংলা নয়, সারা দেশের 21টি রাজ্যের 102টি লোকসভা কেন্দ্রে যাতে কোথাও, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য 350 জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে 127 জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, 67 জন পুলিশ পর্যবেক্ষক, 167 জন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে কমিশনের তরফে।
প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য একাধিক বিষয়ে কড়া নজর দিচ্ছে কমিশন-
- সমস্ত রাজনৈতিক দল যেন সমান সুযোগ পায় ৷
- কোনও রকম পক্ষপাত বরদাস্ত করা হবে না।
- পোলিং প্রেমিসিস, পোলিং স্টেশন, পোলিং বুথের সমস্ত প্রস্তুতি নির্বাচনের অনেকটা আগেই শেষ করে ফেলতে হবে।
- পর্যবেক্ষকদের ঠিকানা, ফোন নম্বর, প্রার্থীর মোবাইল নম্বর প্রয়োজনীয় তথ্য ও যোগাযোগের নম্বর কেন্দ্রের ভোটারদের এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে দিতে হবে।
- কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং বাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখবেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা।
- প্রথম দফা থেকে শুরু করে ভোট কর্মীদের উপস্থিতিতেই ইভিএম বা ভিভিপ্যাটের বিলিব্যবস্থা করতে হবে।
- ভোটার তালিকা সবকটি রাজনীতিক দলের প্রার্থীদের হাতে তুলে দিতে হবে।
- প্রত্যেক জেলায় কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তের নজরদারি চালাতে হবে।
- ভোটের দিনের আগেই ভোটের স্লিপের বিতরণ ব্যবস্থা করে নিতে হবে।
- সমস্ত ভোটকর্মী, মাইক্রো অবজারভার, কাউন্টিং কর্মীদের প্রশিক্ষণ সময়মতো শেষ করতে হবে।
- প্রত্যেকটি কেন্দ্রে বয়স্ক ভোটার, বিশেষভাবে সক্ষম, মহিলা ভোটারদের সুবিধার্থে প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটের সহায়তা কেন্দ্র থাকবে ৷
- ফ্লাইং স্কোয়াড, স্টেটিক্স সার্ভিলেন্স টিম, ভিডিয়ো ভিউয়িং টিমকে সব সময় সক্রিয় থাকতে হবে।
- রাজ্য সীমান্ত বা অন্তরাজ্য সীমান্ত বা আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিশেষভাবে নজরদারি চালাতে হবে।
- এছাড়া, মিডিয়া মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে পেইড নিউজ এবং রাজনীতিক বিজ্ঞাপণের উপরে নজর রাখতে হবে।
- চেক পোস্ট, নাকা চেকিং, পিকেটিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ বিতরণ, মদ বা মাদক, সোনা উদ্ধার অভিযান প্রত্যেকটি মুহূর্তে চালাতে হবে। ভুয়ো খবরকে আটকাতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: