ETV Bharat / state

সরস্বতী পুজোয় পালিয়ে কিশোরীকে বিয়ে নাবালকের ! ভোরে খুঁজে এনে মুচলেকা লেখালেন বিডিও - CHILD MARRIAGE IN CHANDRAKONA

নাবালক-নাবালিকার বিয়ের ঘটনায় ভোরবেলা অভিযানে চন্দ্রকোণা-2 এর বিডিও ৷ অভিভাবকদের মুচলেকা লিখিয়ে নাবালিকাকে তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে ৷

CHILD MARRIAGE IN CHANDRAKONA
প্রতীকী ছবি ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 4, 2025, 6:55 PM IST

চন্দ্রকোণা, 4 ফেব্রুয়ারি: সরস্বতী পুজোর দিনটি বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স-ডে হিসেবে পরিচিত ৷ আর ওইদিনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা বিয়ে করে বসল দুই নাবালক-নাবালিকা ! আর সেই খবর পেয়ে ভোরবেলা নাবালকের বাড়িতে হানা দিলেন স্বয়ং বিডিও ৷ নাবালিকাকে উদ্ধার করে তুলে দিলেন অভিভাবকদের হাতে ৷ লিখিয়ে নিলেন মুচলেকাও ৷

মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা-2 ব্লকে ৷ এ নিয়ে বিডিও উৎপল পাইক বলেন, "চন্দ্রকোণা ব্লকের বাসিন্দা 17 বছরের নাবালক ওই কিশোরের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ঘাটাল ব্লকের 14 বছরের নবম শ্রেণির ছাত্রীর ৷ সেই থেকে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক ৷ সরস্বতী পুজোর দিন ঠাকুর দেখতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু’জনে পালিয়ে যায় ৷"

সরস্বতী পুজোর দিন পালিয়ে বিয়ে নাবালক-নাবালিকার ৷ (ইটিভি ভারত)

তিনি বলেন, "বিষয়টা নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ আসে ৷ খোঁজ নিয়ে জানতে পারি দু’জনে পালিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেছে ৷ এ দিকে ছেলে-মেয়ে দু’জনেই নাবালক ৷ ছেলেটার বাড়িতেই মেয়েটি ছিল ৷ তাই ভোরবেলা 4টে 50 নাগাদ আমি রওনা দিই ৷ ওদের বাড়িতে 5টা 10 মিনিটে পৌঁছে যাই ৷ ভোরবেলায় অভিযান চালাই কারণ, বেলা হলে ওদের না-ও পেতে পারতাম ৷ নাবালক-নাবালিকাকে আমার অফিসে নিয়ে আসি ৷ সেখানে দু’জনের বাবা-মা’দের ডাকা হয় ৷"

বিডিও উৎপল পাইক জানিয়েছেন, "আমি ওঁদের অভিভাবকদের দিয়ে মুচলেকা লিখিয়েছি ৷ দু’জনকেই পড়াশোনা করাতে হবে ৷ বিষয়টার উপর আমি নজর রাখব ৷ ঘাটালের বিডিও-কে জানিয়েছি ৷ উনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, মেয়েটির পড়াশোনার বিষয়ে নজর রাখবেন ৷ এমনকি মেয়েটি মেধাবি ৷ আমাদের লক্ষ্য, সমাজে মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলা ও প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করা ৷"

আপাতত দুই পরিবারকে মুচলেকায় সই করিয়ে ও সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তবে, বিডিও তাঁদের উপর নজর রাখবেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ৷ যদিও, এ নিয়ে নাবালিকার পরিবারের দাবি, তাঁরা মেয়ের বিয়ের বিষয়ে জানতেন না ৷ রাতভর মেয়েকে খুঁজেছেন ৷ তারপর চন্দ্রকোণা-2 বিডিও অফিস থেকে মেয়ের খোঁজ পান ৷

নাবালিকার মায়ের বক্তব্য, "আমরা কিছু জানতাম না ৷ ফোন করে বললো বিডিও অফিসে মেয়েকে নিয়ে এসেছে ৷ রাতে অনেক খুঁজেছি ৷ এখন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব ৷ পড়াশোনা করাব ওকে ৷" অন্যদিকে, নাবালকের মায়ের বক্তব্য, "স্কুলে যায়, খেলাধূলা করে ৷ বাড়িতে একটাই ফোন ৷ ওটা ওর কাছে থাকে ৷ আমরা জানতাম না কী করছে ৷ আমাকে বলেছিল, স্কুলে খাওয়াবে সরস্বতী পুজোয়, তাই গিয়েছে ৷ পরে ফোন করেছিলাম ৷ তখন বলেছিল, বন্ধুদের সঙ্গে পার্কে আছে ৷ পরে অনেক রাতে 11টার সময় বাড়ি ফেরে ৷ কিছুই জানতে পারিনি ৷"

চন্দ্রকোণা, 4 ফেব্রুয়ারি: সরস্বতী পুজোর দিনটি বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স-ডে হিসেবে পরিচিত ৷ আর ওইদিনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা বিয়ে করে বসল দুই নাবালক-নাবালিকা ! আর সেই খবর পেয়ে ভোরবেলা নাবালকের বাড়িতে হানা দিলেন স্বয়ং বিডিও ৷ নাবালিকাকে উদ্ধার করে তুলে দিলেন অভিভাবকদের হাতে ৷ লিখিয়ে নিলেন মুচলেকাও ৷

মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা-2 ব্লকে ৷ এ নিয়ে বিডিও উৎপল পাইক বলেন, "চন্দ্রকোণা ব্লকের বাসিন্দা 17 বছরের নাবালক ওই কিশোরের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ঘাটাল ব্লকের 14 বছরের নবম শ্রেণির ছাত্রীর ৷ সেই থেকে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক ৷ সরস্বতী পুজোর দিন ঠাকুর দেখতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু’জনে পালিয়ে যায় ৷"

সরস্বতী পুজোর দিন পালিয়ে বিয়ে নাবালক-নাবালিকার ৷ (ইটিভি ভারত)

তিনি বলেন, "বিষয়টা নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ আসে ৷ খোঁজ নিয়ে জানতে পারি দু’জনে পালিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেছে ৷ এ দিকে ছেলে-মেয়ে দু’জনেই নাবালক ৷ ছেলেটার বাড়িতেই মেয়েটি ছিল ৷ তাই ভোরবেলা 4টে 50 নাগাদ আমি রওনা দিই ৷ ওদের বাড়িতে 5টা 10 মিনিটে পৌঁছে যাই ৷ ভোরবেলায় অভিযান চালাই কারণ, বেলা হলে ওদের না-ও পেতে পারতাম ৷ নাবালক-নাবালিকাকে আমার অফিসে নিয়ে আসি ৷ সেখানে দু’জনের বাবা-মা’দের ডাকা হয় ৷"

বিডিও উৎপল পাইক জানিয়েছেন, "আমি ওঁদের অভিভাবকদের দিয়ে মুচলেকা লিখিয়েছি ৷ দু’জনকেই পড়াশোনা করাতে হবে ৷ বিষয়টার উপর আমি নজর রাখব ৷ ঘাটালের বিডিও-কে জানিয়েছি ৷ উনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, মেয়েটির পড়াশোনার বিষয়ে নজর রাখবেন ৷ এমনকি মেয়েটি মেধাবি ৷ আমাদের লক্ষ্য, সমাজে মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলা ও প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করা ৷"

আপাতত দুই পরিবারকে মুচলেকায় সই করিয়ে ও সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তবে, বিডিও তাঁদের উপর নজর রাখবেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ৷ যদিও, এ নিয়ে নাবালিকার পরিবারের দাবি, তাঁরা মেয়ের বিয়ের বিষয়ে জানতেন না ৷ রাতভর মেয়েকে খুঁজেছেন ৷ তারপর চন্দ্রকোণা-2 বিডিও অফিস থেকে মেয়ের খোঁজ পান ৷

নাবালিকার মায়ের বক্তব্য, "আমরা কিছু জানতাম না ৷ ফোন করে বললো বিডিও অফিসে মেয়েকে নিয়ে এসেছে ৷ রাতে অনেক খুঁজেছি ৷ এখন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব ৷ পড়াশোনা করাব ওকে ৷" অন্যদিকে, নাবালকের মায়ের বক্তব্য, "স্কুলে যায়, খেলাধূলা করে ৷ বাড়িতে একটাই ফোন ৷ ওটা ওর কাছে থাকে ৷ আমরা জানতাম না কী করছে ৷ আমাকে বলেছিল, স্কুলে খাওয়াবে সরস্বতী পুজোয়, তাই গিয়েছে ৷ পরে ফোন করেছিলাম ৷ তখন বলেছিল, বন্ধুদের সঙ্গে পার্কে আছে ৷ পরে অনেক রাতে 11টার সময় বাড়ি ফেরে ৷ কিছুই জানতে পারিনি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.