সল্টলেক, 18 অগস্ট: ধীরে হলেও মুখ খুলছে ক্রীড়াজগৎ ৷ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ৷ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা সোশাল মিডিয়ায় 'বাবা' ও সহ-নাগরিক হিসেবে সুবিচার চেয়েছেন ৷ রবিবার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে গর্জে উঠল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকরা ৷ এবার সেই তালিকা যুক্ত হলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচিং স্টাফের সদস্য সেনেন আলভারেজ এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের অধিনায়ক শুভাশিস বসু ৷ এমনকি এআইএফএফ সচিব কল্যাণ চৌবে আজ যুবভারতীর সামনে প্রতিবাদে সামিল হলেন ৷
আলভারেজ সেনেন এদিন সকালে সস্ত্রীক আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন ৷ একজন স্প্যানিশ হয়েও তাঁর প্রতিবাদে সামিল হওয়া অন্যমাত্রা যোগ করেছে ৷ রবিবারের ডুরান্ডের ডার্বি বাতিল করেছিল প্রশাসন ৷ আরজি কর-কাণ্ডকে হাতিয়ার করে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সবর সমর্থকরাও ৷ প্রতিবাদ হয়েছে আরজি কর-কাণ্ডের সুবিচার চেয়ে ৷ যেখানে লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন নয় ৷ সবাই এক রঙে রাঙিয়ে সুবিচার চাইলেন ৷
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন চত্বরে সমর্থকদের সম্মিলিত স্বরে গলা মেলালেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের অধিনায়ক শুভাশিস বসু ৷ সস্ত্রীক উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানালেন তিনি ৷ সঙ্গে সুবিচারের দাবি ৷ সরব হয়েছেন প্রীতম কোটাল ৷ তিনিও সোশাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন ৷ ইস্টবেঙ্গলের শৌভিক চক্রবর্তী সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন ৷ পরে অবশ্য তা তুলে নেন তিনি ৷ জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিবাদ এই জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবসময় জারি থাকবে ৷ সব মিলিয়ে সরব হচ্ছে ইস্ট-মোহনের ফুটবলার ৷ যা আদতে, একটি বার্তা বাকিদের জন্যও ৷
এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে প্রতিবাদীদের সমর্থনে হাজির হন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে ৷ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকদের আন্দোলনকে ঠেকাতে যে পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করেছিল বিধাননগর কমিশনারেট, তার অর্ধেক পুলিশ কেন ম্যাচের জন্য দেওয়া হল না ? এই প্রশ্ন তুললেন তিনি ৷ তিনি বলেন, "প্রতিবাদ রুখতে রাজ্য সরকার পুলিশ দিতে পারেন ৷ অথচ ধর্ম, জাতির ঊর্ধ্বে থাকা ফুটবলের মতো খেলা আয়োজন করতে কেন পুলিশ দেওয়া হয় না ?" পাশাপাশি, আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের সুবিচারের দাবিও তুললেন কল্যাণ ৷