দুর্গাপুর, 13 মার্চ: মুম্বইতে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন ছেলে ৷ সেই শোকে বাবার শরীরও ভালো ছিল না ৷ দিনকয়েক আগে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার সময় বর্ধমান স্টেশন থেকে তিনিও নিখোঁজ হয়ে যান ৷ এই অবস্থায় ছেলে ও স্বামীকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন বুদবুদ থানা এলাকার মানকরের বাসিন্দা পূর্ণিমা আঁকুড়ে ৷
স্বামী ও ছেলের ছবি আঁকড়ে তাদের ফেরার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, "9 মাস আগে ছেলে সুমন আঁকুড়ে আমাকে ফোন করে বলে তিন হাজার টাকার খুব প্রয়োজন এখনই পাঠাতে । ওর বাবা তখন বাড়ির গরুগুলোকে নিয়ে বেরিয়েছিল । আমি বললাম আমার কাছে এত টাকা নেই । 2 হাজার টাকা আছে ৷ ও বলেছিল তাই পাঠাতে ৷ ওর হাতে নাকি সময় নেই ৷ ওকে অনেক দূরে যেতে হবে ৷ আমি তাই পাঠিয়েছিলাম ৷ ছেলে বলেছিল যা সমস্যা হয়েছে পরে সব জানাবে । আমি যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম তোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করব ? উত্তরে ছেলে বলেছিল ওর সঙ্গে আরেকজন আছে ৷ ওরা দু'জনে একসঙ্গে যাচ্ছে ৷ তারপর থেকে আর ওর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু তারপর থেকে আজ পর্যন্ত তার কোনও খোঁজখবর পাইনি । মুম্বইতে গিয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেও লাভ হয়নি ৷"
এদিকে ছেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর সুমনের বাবা ভোলানাথ আঁকুড়েও মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন । চিকিৎসার জন্য কয়েকদিন আগে বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে ৷ পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ৷ ফেরার পথে বর্ধমান স্টেশনে বাথরুম যাচ্ছি বলে নিখোঁজ হয়ে যান ভোলানাথ ৷
অভিযোগ জানানো হয় বর্ধমান থানায় ৷ কয়েক মাসের ব্যবধানে বাবা-ছেলের নিখোঁজ হওয়ায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । কীভাবে একই পরিবারের দুইজন নিখোঁজ হয়ে গেল সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকজন । স্বামী ও পুত্র নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সুমনের মা ।
আরও পড়ুন :