হাওড়া/মেদিনীপুর, 9 নভেম্বর: ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শালিমারে ঢোকার আগে নলপুরের কাছে লাইনচ্যুত হয় ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ৷ পরপর তিনটি কামরা লাইন থেকে ছিটকে গিয়ে পাথরের মধ্যে নেমে যায় ৷ এখনও লাইনের উপর থেকে ট্রেনের বেলাইন কামরাগুলি সরানো যায়নি।
শনিবারের এই দুর্ঘটনার জেরে অন্যান্য ট্রেন পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়েছে ৷ দুর্ভোগের মুখে যাত্রীরা ৷ কিন্তু কীভাবে লাইনচ্যুত সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস? রেলের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে আচমকা মাঝের লাইনে চলে যাওয়ায় এই বিপত্তি ৷
কীভাবে লাইনচ্যুত যাত্রীবাহী এক্সপ্রেস: যদিও এই ঘটনায় তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আচমকা মাঝের লাইনে চলে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে ৷ রেল সূত্রে খবর, ডাউন লাইন দিয়ে সেকেন্দ্রাবাদ থেকে শালিমারের দিকে আসছিল ট্রেনটি। আচমকা শুরুর দিকের কামরাগুলি মাঝের লাইনে চলে যায়। পরে আবার তা ডাউন লাইনে চলে যায়। এর ফলে ডাউন লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ বেঁকে যায় লাইনের একাংশ।
যে ফিসপ্লেট দিয়ে লাইন জুড়ে রাখা হয়, তাও এদিক সেদিক পড়ে রয়েছে ৷ তবে নলপুরের কাছে ট্রেনটির গতি তুলনামূলক কম ছিল। আর ধীরগতির কারণেই বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে গিয়েছে ৷ দ্রুতগতিতে ছুটলে ট্রেন দুর্ঘটনার অভিঘাত বড়সড় হতে পারতো ৷
যাত্রী ভোগান্তি: যাত্রিবাহী ট্রেনের যে তিনটি কামরা পরপর লাইনচ্যুত হয়েছে, তার মধ্যে একটি পার্সেল ভ্যান ও দু'টি যাত্রীবাহী কামরা রয়েছে। তবে যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। এই দুর্ঘটনার জেরে রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় এখনও পর্যন্ত লাইন পুরোপুরি চালু হয়নি। অতি তৎপরতার সঙ্গে লাইন চালু করার চেষ্টা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় আতঙ্ক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর স্টেশনে। দূর-দূরান্তের যাত্রীরা ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না ৷ ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা ৷ রেল কর্তৃপক্ষ এখনও জানাতে পারেনি কখন লাইন পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে। অন্যদিকে, রেলযাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷