ডেবরা, 27 সেপ্টেম্বর: মেদিনীপুরের ডেবরায় বানভাসী মানুষদের চিকিৎসা করতে এলেন উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাফিল খান ৷ গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি এবং সেইসঙ্গে ডিভিসি'র ছাড়া জলে বানভাসী পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘাটালের পরে ডেবরা। আর সেই বন্যাকবলিত দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এলেন চিকিৎসক কাফিল খান ৷
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন থেকে যেমন শুকনো খাবার, মুড়ি, বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে চিকিৎসা করার জন্যও দৌঁড়ে আসছেন চিকিৎসকরা। এবার সেই বানভাসী মানুষদের চিকিৎসা করার জন্য উত্তরপ্রদেশ থেকে এলেন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাফিল খান। এদিন তিনি ক্যাম্পে রোগী দেখেন, চিকিৎসা করেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধও দিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরায় বন্যার দূষিত জল এবং দুর্গন্ধে এলাকাবাসীর হাজা, চুলকানি, ফুসফুসের সমস্যা হচ্ছে । 20 জনের মেডিক্যাল টিম নিয়ে হাজির উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের চিকিৎসক কাফিল খান।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার সারাদিন ডেবরা ব্লকের জোতহাড়ো জ্ঞানদাময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে। সারাদিনে 600 জনের বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এলাকাবাসীরা জানান, বন্যার জল দূষিত হয়ে হাজা, চুলকানি, ঘা হচ্ছে । এই ক্যাম্প আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল। এই ক্যাম্পেই রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালের চিকিৎসক কাফিল খান ৷ তিনি বলেন, "খুব ছোট জায়গায় 86 জন রয়েছে একসঙ্গে ৷ তাদের কাছে অবিলম্বে রাজ্য এবং কেন্দ্রের ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে ৷"
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের এক হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় এই চিকিৎসক অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তারা নাম উঠে এসেছিল। সেই চিকিৎসকও এদিনের এই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিল। সংবাদ মাধ্যমে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, 2020 সালে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে কাফিল খানকে জানুয়ারি মাসে উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে ৷ 12 ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে CAA বিরোধী বিক্ষোভে বক্তৃতা দেওয়ার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছিল ৷ সে বছরই সেপ্টেম্বর মাসে জামিনে মুক্তি পান কাফিল খান।