ETV Bharat / international

হাসিনা-পুত্রর অপহরণ-হত্যার ষড়যন্ত্র! মামলায় বেকসুর খালাস 'দোষী' সংবাদপত্রের সম্পাদক - HASINA SON MURDER CONSPIRACY

মামলাটি 3 অগস্ট, 2015 তারিখে নথিভুক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে মাহমুদুর ও শফিক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

Hasina's Son Sajeeb Wazed Joy
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় (ইটিভি ভারত)
author img

By PTI

Published : Feb 11, 2025, 8:43 AM IST

ঢাকা, 11 নভেম্বর: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত মামলায় সোমবার সে দেশের আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। এই মামলায় আদালত বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদককে 'বেকসুর খালাস' করেছে। এই মামলাটি 2015 সালের। রায় দানের সময় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর বিচারক তারিক আজিজ মামলায় তার দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং সাজার বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের আবেদন গ্রহণ করেন।

শুনানি চলাকালীন বিচারক বলেন, তদন্তের সময় আবেদনকারীর বিরুদ্ধে অপহরণ এবং হত্যার ষড়যন্ত্রের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা এবং সাজানো বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারক তাঁর আদেশে জানিয়েছেন যে, নিম্ন আদালতের মাহমুদুর রহমানকে দেওয়া সাজা বাতিল করা হল এবং আবেদনকারীকে এই মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হল। আদালতের এই রায়ের পর, দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অবশেষে তিনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেলেন এবং তিনি যে নির্দোষ, তা প্রমাণিত হয়েছেন। এর সঙ্গে, তিনি আরও জানান যে, তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই চালিয়ে যাবেন।

মামলাটি 3 অগস্ট, 2015 তারিখে নথিভুক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে মাহমুদুর ও শফিক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। আগের অভিযোগ অনুযায়ী, মামুন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতারা ব্রিটেন, আমেরিকা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার ছেলে ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এ জন্য একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জয় তখন শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ছিলেন।

গত বছর 17 অগস্ট, 2024-এ ঢাকার একটি আদালত মাহমুদুরকে তাঁর অনুপস্থিতিতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়, যার বিরুদ্ধে তিনি আবেদন করেছিলেন। একই মামলায় মাহমুদুর রহমানের পাশাপাশি আর এক সাংবাদিক শফিক রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার এবং ব্রিটেন-ভিত্তিক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকেও তাঁদের অনুপস্থিতিতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সাড়ে পাঁচ বছর নির্বাসনে থাকার পর গত বছরের 27 সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফিরে আসেন মাহমুদুর। দুই দিন পর, তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চলছে 'অপারেশন ডেভিল হান্ট'! 12 ঘণ্টায় গ্রেফতার 1300 জনেরও বেশি
শেখ হাসিনার বক্তব্য তাঁর নিজস্ব, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই ; বিবৃতি বিদেশমন্ত্রকের

ঢাকা, 11 নভেম্বর: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত মামলায় সোমবার সে দেশের আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। এই মামলায় আদালত বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদককে 'বেকসুর খালাস' করেছে। এই মামলাটি 2015 সালের। রায় দানের সময় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর বিচারক তারিক আজিজ মামলায় তার দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং সাজার বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের আবেদন গ্রহণ করেন।

শুনানি চলাকালীন বিচারক বলেন, তদন্তের সময় আবেদনকারীর বিরুদ্ধে অপহরণ এবং হত্যার ষড়যন্ত্রের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা এবং সাজানো বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারক তাঁর আদেশে জানিয়েছেন যে, নিম্ন আদালতের মাহমুদুর রহমানকে দেওয়া সাজা বাতিল করা হল এবং আবেদনকারীকে এই মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হল। আদালতের এই রায়ের পর, দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অবশেষে তিনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেলেন এবং তিনি যে নির্দোষ, তা প্রমাণিত হয়েছেন। এর সঙ্গে, তিনি আরও জানান যে, তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই চালিয়ে যাবেন।

মামলাটি 3 অগস্ট, 2015 তারিখে নথিভুক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে মাহমুদুর ও শফিক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। আগের অভিযোগ অনুযায়ী, মামুন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতারা ব্রিটেন, আমেরিকা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার ছেলে ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এ জন্য একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জয় তখন শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ছিলেন।

গত বছর 17 অগস্ট, 2024-এ ঢাকার একটি আদালত মাহমুদুরকে তাঁর অনুপস্থিতিতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়, যার বিরুদ্ধে তিনি আবেদন করেছিলেন। একই মামলায় মাহমুদুর রহমানের পাশাপাশি আর এক সাংবাদিক শফিক রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার এবং ব্রিটেন-ভিত্তিক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকেও তাঁদের অনুপস্থিতিতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সাড়ে পাঁচ বছর নির্বাসনে থাকার পর গত বছরের 27 সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফিরে আসেন মাহমুদুর। দুই দিন পর, তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চলছে 'অপারেশন ডেভিল হান্ট'! 12 ঘণ্টায় গ্রেফতার 1300 জনেরও বেশি
শেখ হাসিনার বক্তব্য তাঁর নিজস্ব, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই ; বিবৃতি বিদেশমন্ত্রকের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.