দার্জিলিং, 10 সেপ্টেম্বর: দুর্নীতি, থ্রেট কালচার ও মার্কশিটে নম্বর হেরফেরের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত নয় ? এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । নিজের পিঠ বাঁচাতে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয় ৷ তবে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও পদক্ষেপ করেনি তদন্ত কমিটি বা কলেজ কাউন্সিল । সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার বিরুদ্ধে কী তদন্ত হবে তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে ৷
পাশাপাশি তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে কলেজ কাউন্সিলের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে । কারণ অভিযোগ ওঠার পর ডিন, সহকারী ডিন, আধিকারিক, হাউজ স্টাফ, ইন্টার্ন-সহ যে 12 জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই না-দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । গোটা তদন্তটাই কার্যত একপেশে ও অধ্যক্ষ নিজেকে বাঁচাতে এই তদন্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।
প্রসঙ্গত, থ্রেট কালচার, দুর্নীতি, নম্বর হেরফেরের মতো অভিযোগে কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারী ডিন সুদীপ্ত শীল, নোডাল অফিসার নীলাব্জ ঘোষকে ছুটিতে পাঠিয়েছে কাউন্সিল । পাশাপাশি আরও আট জনকে কলেজ থেকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে । কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই তদন্ত কমিটি অভিযুক্তদের মতামত নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । সেক্ষেত্রে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের কথা ভাবছেন বহিষ্কৃতদের একাংশ ।
ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, "এই তদন্ত কমিটি কী করে পদক্ষেপ করল জানা নেই । আমাকে তাদের ছুটিতে পাঠানোর এক্তিয়ার নেই ৷ আর গোটা তদন্তটাই একপেশে হয়েছে ।" নীলাব্জ ঘোষ বলেন, "এই তদন্ত মানি না । আমি বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করব । আমাকে তদন্তে ডাকা হয়নি । তা হলে এই সিদ্ধান্ত হল কেমন করে ?"
অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার বিরুদ্ধেও ৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করতে পারেনি কাউন্সিল । কারণ তদন্ত কমিটি ও কাউন্সিল অধ্যক্ষের অধীনেই । যদিও ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, "আমার বিরুদ্ধেও যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলি স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হবে । তারা পদক্ষেপ করবে ।"
এই বিষয়ে হাউজ স্টাফ শহরিয়ার আলম বলেন, "অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ রয়েছে । কিন্তু কই তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করা হল না । আশা করি মেডিক্যাল কাউন্সিল ও স্বাস্থ্যভবন পদক্ষেপ করবে । না হলে আমরা তাঁর পদত্যাদের দাবিতে আন্দোলনে নামব ।"