ETV Bharat / state

এবার গ্রামের হাসপাতালেও হেনস্তার শিকার চিকিৎসক ও নার্সরা ! ধৃত রোগীর 2 পরিজন - Ratua Rural Hospital - RATUA RURAL HOSPITAL

Ratua Rural Hospital: সরকারি হাসপাতালে ফের নিগ্রহের শিকার চিকিৎসক ও নার্সরা ৷ রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ রোগীর পরিজনের বিরুদ্ধে ৷ দু’জনকে আটক করল পুলিশ ৷

Ratua Rural Hospital
রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 1, 2024, 5:09 PM IST

মালদা, 1 অক্টোবর: শহরের পাশাপাশি এবার গ্রামের সরকারি হাসপাতালে হেনস্তার শিকার চিকিৎসক, নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ৷ চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার শাসানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ৷ তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ ৷ যদিও পুলিশ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দু'জনকে পাকড়াও করেছে ৷ এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে রতুয়া থানার পুলিশ ৷

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাত 11টা 15 মিনিট নাগাদ ৷ সেই সময় অমরজিৎ গোস্বামী নামে স্থানীয় বালুপুর গ্রামের এক বাসিন্দাকে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ তাঁর বাম হাতের আঙুল কোনও ধারালো কিছুতে কেটে গিয়েছিল ৷ ক্ষতস্থান দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ হচ্ছিল ৷ কর্তব্যরত চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন ৷ আঙুলে সেলাই করা হয় ৷ ওষুধপত্রও দিয়ে দেওয়া হয় ৷ এরপরেই শুরু হয় ঝামেলা ৷

রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্তা (ইটিভি ভারত)

সেলাইয়ের সুতো কেন বাইরে থেকে কিনে আনতে হল, সেই প্রশ্ন তুলে তাঁরা চিকিৎসক ও নার্সদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন ৷ অভিযোগ, একসময় উত্তেজিত হয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের শাসাতেও শুরু করেন রোগীর পরিবারের লোকজন ৷ সেই সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সিভিক ভলান্টিয়ার গোটা বিষয়টি থানায় জানান ৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে চলে আসে রতুয়া থানার পুলিশ ৷ সেখান থেকে রাজেন মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল নামে দু'জনকে আটক করা হয় ৷ ধৃতদের বাড়ি রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিনপাড়া গ্রামে ৷

ঘটনার সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অঙ্কুশ মণ্ডল মঙ্গলবার বলেন, "হাসপাতালে সেলাইয়ের সুতো ছিল না ৷ গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে সবসময় সব জিনিস মজুতও থাকে না ৷ তাই রোগীর পরিজনদের ওই সুতো বাইরে থেকে কিনে আনতে বলা হয়েছিল ৷ বাকি ওষুধ, ইনজেকশন অবশ্য হাসপাতালেই মজুত ছিল ৷ রোগীর চিকিৎসা হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন প্রশ্ন তুলতে শুরু করে, কেন হাসপাতালে সেলাইয়ের সুতো নেই ৷ তাদের মুখ থেকে মদের গন্ধ বেরোচ্ছিল ৷ তারা আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ৷ আমাদের হুমকি দিতে থাকে ৷ নার্সদেরও তারা দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় ৷"

তাঁর কথায়, "দিনে হাসপাতালে অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী থাকলেও রাতে হাতে গোনা কয়েকজন কাজ করেন ৷ মাঝেমধ্যেই মদ্যপ লোকজন আমাদের হুমকি দেয় ৷ এ নিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ৷ আমরা গোটা বিষয়টি বিএমওএইচ এবং বিডিওকে জানিয়েছি ৷ আশা করি তাঁরা কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করবেন ৷" রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো বলেন, "পুলিশ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ৷ হাসপাতালের নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে ৷ প্রশাসনের তরফেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"

উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে রাজ্যেজুড়ে প্রতিবাদ চলছে ৷ এরই মাঝে সাগর দত্ত হাসপাতালে হেনস্তার শিকার হতে হয় চিকিৎসকদের । ফিমেল ওয়ার্ডে ঢুকে চিকিৎসক ও নার্সদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রোগী পরিবারের বিরুদ্ধে । সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার মালদা জেলার রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরা হেনস্তার শিকার হলেন ৷

মালদা, 1 অক্টোবর: শহরের পাশাপাশি এবার গ্রামের সরকারি হাসপাতালে হেনস্তার শিকার চিকিৎসক, নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ৷ চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার শাসানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ৷ তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ ৷ যদিও পুলিশ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দু'জনকে পাকড়াও করেছে ৷ এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে রতুয়া থানার পুলিশ ৷

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাত 11টা 15 মিনিট নাগাদ ৷ সেই সময় অমরজিৎ গোস্বামী নামে স্থানীয় বালুপুর গ্রামের এক বাসিন্দাকে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ তাঁর বাম হাতের আঙুল কোনও ধারালো কিছুতে কেটে গিয়েছিল ৷ ক্ষতস্থান দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ হচ্ছিল ৷ কর্তব্যরত চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন ৷ আঙুলে সেলাই করা হয় ৷ ওষুধপত্রও দিয়ে দেওয়া হয় ৷ এরপরেই শুরু হয় ঝামেলা ৷

রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্তা (ইটিভি ভারত)

সেলাইয়ের সুতো কেন বাইরে থেকে কিনে আনতে হল, সেই প্রশ্ন তুলে তাঁরা চিকিৎসক ও নার্সদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন ৷ অভিযোগ, একসময় উত্তেজিত হয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের শাসাতেও শুরু করেন রোগীর পরিবারের লোকজন ৷ সেই সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সিভিক ভলান্টিয়ার গোটা বিষয়টি থানায় জানান ৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে চলে আসে রতুয়া থানার পুলিশ ৷ সেখান থেকে রাজেন মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল নামে দু'জনকে আটক করা হয় ৷ ধৃতদের বাড়ি রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিনপাড়া গ্রামে ৷

ঘটনার সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অঙ্কুশ মণ্ডল মঙ্গলবার বলেন, "হাসপাতালে সেলাইয়ের সুতো ছিল না ৷ গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে সবসময় সব জিনিস মজুতও থাকে না ৷ তাই রোগীর পরিজনদের ওই সুতো বাইরে থেকে কিনে আনতে বলা হয়েছিল ৷ বাকি ওষুধ, ইনজেকশন অবশ্য হাসপাতালেই মজুত ছিল ৷ রোগীর চিকিৎসা হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন প্রশ্ন তুলতে শুরু করে, কেন হাসপাতালে সেলাইয়ের সুতো নেই ৷ তাদের মুখ থেকে মদের গন্ধ বেরোচ্ছিল ৷ তারা আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ৷ আমাদের হুমকি দিতে থাকে ৷ নার্সদেরও তারা দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় ৷"

তাঁর কথায়, "দিনে হাসপাতালে অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী থাকলেও রাতে হাতে গোনা কয়েকজন কাজ করেন ৷ মাঝেমধ্যেই মদ্যপ লোকজন আমাদের হুমকি দেয় ৷ এ নিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ৷ আমরা গোটা বিষয়টি বিএমওএইচ এবং বিডিওকে জানিয়েছি ৷ আশা করি তাঁরা কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করবেন ৷" রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো বলেন, "পুলিশ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ৷ হাসপাতালের নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে ৷ প্রশাসনের তরফেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"

উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে রাজ্যেজুড়ে প্রতিবাদ চলছে ৷ এরই মাঝে সাগর দত্ত হাসপাতালে হেনস্তার শিকার হতে হয় চিকিৎসকদের । ফিমেল ওয়ার্ডে ঢুকে চিকিৎসক ও নার্সদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রোগী পরিবারের বিরুদ্ধে । সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার মালদা জেলার রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরা হেনস্তার শিকার হলেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.