সল্টলেক, 27 মার্চ: বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল সল্টলেকে ৷ বুধবার সকালবেলা সাড়ে 7টা নাগাদ পরিচারিকা এসে দেখেন ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি ৷ তড়িঘড়ি স্থানীয়দের ডেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷
বিধাননগরের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা নিজেও ৷ এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসেন বিধায়ক সুজিত বসু । পুলিশ এসে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখে তখনও জীবিত রয়েছেন গৃহকর্তা যদুনাথ মিত্র ৷ কিন্তু মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী মন্দিরা মিত্রের ৷ তড়িঘড়ি দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ জানা গিয়েছে, যদুনাথবাবু পেশায় ছিলেন আর্মির অবসরপ্রাপ্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ৷
এদিকে ঘরের ভিতর থেকে পাওয়া যায় একটি রক্তমাখা ছুড়ি ও সুইসাইড নোট ৷ সেই নোটেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টার কথা লিখে গিয়েছেন যদুনাথ মিত্র ৷ তবে এই সুইসাইড নোটের মাত্র চার লাইন বাংলায় লেখা ছিল ৷ যা পড়ে স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার ঘটনা জানতে পারে পুলিশ ৷ তবে এহেন ঘটনার পিছনে বাকি বিস্তারিত কারণ ইংরেজিতে লেখা রয়েছে ৷ যা উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷
প্রতিবেশী অনিশ দত্ত শর্মার থেকে জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে নিয়ে সল্টলেকের এই বাড়িতে থাকতেন যদুনাথবাবু ৷ দু'জনেই খুব ভদ্র ও শান্তশিষ্ট ছিলেন ৷ প্রতিবেশীদের ভাইয়ের মতো দেখতেন ৷ তাঁর দুই মেয়ের একজন কলকাতারই অন্য জায়গায় থাকেন আর অন্যজন কর্মসূত্রে বিদেশে ৷ কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটালেন বৃদ্ধ তা বুঝতে পারছেন না কেউই ৷
এদিকে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানান, চিকিৎসক মিত্রকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে তিনি স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার কথা লিখে গিয়েছেন ৷ বাকি আরেকটি নোট উদ্ধার হয়েছে ৷ তা পড়লে বিস্তারিত কারণ জানা যাবে ৷
আরও পড়ুন :