হাসনাবাদ, 29 অক্টোবর: চিকিৎসা করাতে এসে ধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা ৷ তাঁকে ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ৷ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নূর আলম সরদার নামে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর 24 পরগনার হাসনাবাদে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ষণের পর নির্যাতিতা মহিলার আপত্তিকর ছবি তার মোবাইলে তুলে রাখে অভিযুক্ত ৷ শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ সেই সব ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতার কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত চিকিৎসক ৷ ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় হাসনাবাদের বরুণহাটে স্থানীয় ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন নির্যাতিত মহিলা ৷ অভিযোগ, চিকিৎসার নামে ওই মহিলাকে প্রথমে ইঞ্জেকশন দেয় অভিযুক্ত ৷ এরপর মহিলা অজ্ঞান হয়ে গেলে সেই সুযোগে অচৈতন্য অবস্থায় মহিলাকে ধর্ষণ করে ৷ পাশাপাশি মহিলার আপত্তিকর ছবি নিজের মোবাইলে তুলে রাখে ওই চিকিৎসক ৷
সেগুলি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছে চিকিৎসক, অভিযোগ নির্যাতিতার ৷ এমনকী, অভিযুক্ত তাঁর কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলেও দাবি অভিযোগকারিণীর ৷
এদিকে, দফায় দফায় মহিলার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নেওয়ার পরেও অভিযুক্ত চিকিৎসক ক্ষান্ত থাকেননি ৷ আরও টাকার দাবি করে সে মহিলাকে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ ৷ ভয়ে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকা স্বামীকে প্রথম দিকে কিছু জানাতে পারেননি নির্যাতিতা মহিলা ৷ এরপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকায় শেষে সাহস করে স্বামীকে সব কথা খুলে বলেন তিনি ৷ স্ত্রী'র কাছ থেকে সব শুনে বাড়ি ফিরে আসেন মহিলার স্বামী ৷
সোমবার রাতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন হাসনাবাদ থানায় ৷ অভিযোগ পেয়ে এদিন ভোরে পুলিশ হানা দিয়ে বরুণহাটের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত চিকিৎসককে ৷ মঙ্গলবার দুপুরে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ ৷ তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বলে খবর আদালত সূত্রে ৷ সেই সঙ্গে নির্যাতিতা মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে পুলিশ ৷