বর্ধমান, 9 মে: "বর্ধমান থানার আইসি-কে চিনিয়ে দেবেন তো । যদি ওর প্যান্ট খুলতে না-পারি তাহলে আমার নাম দিলীপ ঘোষ নয়। (আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করে) দেখব ওর কোন মা-বাপ ওকে বাঁচায় । ওকে এবার টার্গেট করব । ভাবছে ভদ্রতা করছি বলে যা মন তাই করবে ? "বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়ে এইভাবেই বেলাগাম বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।
বুধবার রাতের দিকে দিলীপ ঘোষকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বর্ধমান থানার পুলিশের বিরুদ্ধে । যার জেরে একপ্রস্থ অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয় । বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর বটতলা এলাকার চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ । সেখানে বিজেপি কর্মীরা দিলীপ ঘোষের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন । যা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন দিলীপ । তিনি বর্ধমান থানার আইসি ও এসআইয়ের উদ্দেশ্যে কু-মন্তব্য করেন ।
চায়ের আসরে পাশে বসে থাকা বর্ধমানে বিজেপির জেলা সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ বলেন, "পুলিশ ইচ্ছে করে আমাদের আটকাচ্ছে । তাই রুট চেঞ্জ যেন না হয় । ওরা বললেই কি আমরা চেঞ্জ করে নেব ? বালি মাফিয়াদের চমকাতে পারছে না । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আট-দশ দিন এখানে থাকলেও কিছু বলতে পারে না । ওদের কাছে ভোটার নেই । পুলিশ আছে আর কর্মচারীরা আছে । তুমি নিজে গিয়ে বলো অনুমতি দেবে কি না । দিলীপদা করবে পারলে আটকাও । পুলিশ কি ভদ্রলোক নাকি । ছোটলোকের সঙ্গে যেমন কথা বলতে হয় পুলিশের সঙ্গেও ওই রকম কথা বলতে হবে ।"
এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এবার থেকে আমি আর কিছু না করে রোজ থানা, বিডিও আর ডিএমকে ঘেরাও করব। ঘরে ওদের দমবন্ধ করে দেব । ঘর থেকে বের হতে দেব না । চামচাবাজি বের করে দেব । এরপরেই দিলীপের সংযোজন, "ওর বাপের জমিদারি নাকি, জুতিয়ে লম্বা করে দেব ৷ ও রাস্তায় বের হলে ওর কাপড় খুলে দেব । দিলীপ ঘোষ এখানে পাঁচ বছর থাকবে । দেখব কী করে ওরা কাজ করে ৷"
আরও পড়ুন :