বর্ধমান, 12 এপ্রিল: রামনবমী নিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ । তাঁর দাবি, রামনবমী উৎসবে পুলিশ যদি ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করে, তাহলে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে । তাই পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝামেলা না পাকানোর জন্যও হুঁশিয়ারিও দেন তিনি ৷
শুক্রবার বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায় চা-চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ ৷ সেখানে রামনবমীর প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসনকে বলতে চাইছি বিনা কারণে দিদিমনির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মতো কোনও ঝামেলা পাকাবেন না । আজ হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে । রামমন্দির হয়ে গিয়েছে, তাই চারখানা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে আমাদের চমকাবেন না বা হিংসা করার জন্য পাঠাবেন না । তাহলে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে ।’’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘রামমন্দির প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে যে আন্দোলন হয়েছিল বিগত পাঁচশো বছরে সারা পৃথিবীতে এই ধরনের কোনও আন্দোলন হয়নি । ফলে চলতি বছরে রামনবমী উৎসব এমন ভাবে পালন করা হবে, যেটা সারা পৃথিবী দেখবে । আর চারদিন ধরে বর্ধমানে রামনবমী উৎসব পালন করা হবে ।’’ আর এই উৎসব পালনের সময় যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা যায়, সেই আবেদন করেন তিনি । দিলীপের কথায়, ‘‘যাতে শান্তির সঙ্গে পালন করা যেতে পারে, সেই আবেদন করছি ।’’
এছাড়া তিনি বলেন, ‘‘আমরা চারদিন ধরে রামনবমী উৎসব পালন করব । গলসি, বর্ধমান মন্তেশ্বর সবজায়গা ঘুরেই আমরা রামনবমী উৎসব পালন করব । গত 500 বছরে এই ধরনের আন্দোলন হয়নি যে আন্দোলন রামমন্দিরকে ঘিরে হয়েছিল যেটা আমাদের দেশের পূর্ব পুরুষেরা করেছেন এবং সফল হয়েছেন আর আজ নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে সেই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে ।’’
তাই দিলীপের আবেদন, ‘‘রাম আমাদের পূর্বপুরুষ তাই আসুন সবাই মিলে আমরা রামনবমী উৎসবে সামিল হই । রামনবমী উৎসব এমন হবে যাতে সারা পৃথিবী দেখতে পারে । যেমন অযোধ্যাতে যখন দীপাবলি উৎসব হয়েছে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তা দেখা গিয়েছে । শ্রীরাম আমাদের মনের মধ্যে আছেন, তাই এবার রামনবমীতে যে শোভাযাত্রা হবে, তা ঐতিহাসিক হওয়া উচিত । প্রত্যেকের সেই শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়া ধর্মীয় অধিকার । নির্বাচন আসবে, নির্বাচন যাবে ৷ কিন্তু এই দেশ আমাদের থাকবে । উৎসব থাকবে রামনবমী জন্মাষ্টমী থাকবে ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা কথা দিয়েছিলাম রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করব, 370 ধারা বাতিল করব, তিনতালাক হটাবো । সবই আমরা করে দিয়েছি । কাশী বিশ্বনাথ করেছি, অযোধ্যা করেছি, এমনকি দুবাইতেও আমাদের মন্দির তৈরি হয়েছে । করোনার সময় শুধুমাত্র আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের হাত ধরে আমাদের দেশের লোকেরাই বাঁচেনি আশেপাশের আরও 100টা দেশের কোটি কোটি লোককে বাঁচিয়েছি । তাইতো মানুষ আজ জয়জয়কার করছে । এটা দেশের সবচেয়ে বড় সংকটের সময় আমাদের সব থেকে বড় অবদান ছিল ।’’
আরও পড়ুন: