ETV Bharat / state

রেললাইনের পাশে বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ, তদন্ত চেয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দিলীপের - BJP worker Body Recover

BJP worker Body Recover: রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ ৷ এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ৷ তবে এনিয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷

BJP worker Body Recover
বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 26, 2024, 10:13 PM IST

বর্ধমান, 26 জুন: রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর দেহ ৷ এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের হীরাগাছি এলাকায় ৷ মৃতের নাম সুভাষ দত্ত (44)। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷ তবে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, ঘটনায় শাসক দলের হাত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন ৷

স্থানীয় ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুভাষ দত্ত বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন ৷ তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের হীরাগাছির ঘোষপাড়ায় ৷ মঙ্গলবার রাত 12টা নাগাদ ব্যক্তিগত কাজে সুভাষ বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ৷ গভীর রাতে শক্তিগড়ের আমড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ জানা গিয়েছে, তাঁর কপাল ফেটে রক্ত ঝরছিল ৷ দুই পায়েও গভীর ক্ষত ছিল। পরিবারের তরফে এই বিষয়ে অবশ্য কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷

তবে সোশাল মিডিয়ায় প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লেখেন, "দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুভাষ দত্তের মরদেহ পাওয়া গেল শক্তিগড়ের আমড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ৷ অত্যন্ত মর্মাহত এই খবরে ৷ নির্বাচনের সময় খুব সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিলেন সুভাষ ৷ তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি ৷ এই কঠিন সময়ে পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি ৷ কীভাবে এই মৃত্যু হল তার তদন্ত হওয়া দরকার ৷ শাসক দলের হাত আছে কি না, সেটার জন্য আমরা তদন্ত দাবি করব ৷"

যদিও পরিবারের দাবি, গভীর রাতে সে হঠাৎ বাইক নিয়ে বের হল কেন, কেনই বা রেলগেটের একপারে বাইক রাখল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ একই সঙ্গে, কারও ফোন পেয়ে কি তিনি বেরিয়েছিলেন ? এদিকে বের হওয়ার সময় সঙ্গে মোবাইল রাখেননি কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷

মৃতের দাদা সমীর কুমার দত্ত বলেন, "রাতের দিকে নিজের ব্যক্তিগত কাজ আছে বলে বেরিয়ে গিয়েছিল। এরপর ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায় শুনেছি। গেটম্যান খবর দেন। গেটের এইপারে মোটর সাইকেল রেখে রেললাইন পারাপার করছিল ৷ দেহ জিআরপি নিয়ে গিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ভাই সক্রিয়ভাবে বিজেপির কর্মী ছিল ৷ ভোটের পরে তাকে ধমকানি দেওয়া হয়েছিল ৷ এখনও রাজনৈতিকভাবে কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না ৷"

পাশাপাশি মৃতের দাদা এও বলেন, "তবে অত রাতে বের হয়ে রেললাইনের এপারে বাইক রেখে কেন তিনি ওপারে যাওয়ার চেষ্টা করল সেটা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে গিয়েছিল। কেউ তাকে ফোন করে ডেকেছিল কি না, তাও বুঝে উঠতে পারছি না। তবে পুলিশ যদি তদন্ত করে দেখে তো বিষয়টি জানা যাবে।"

বর্ধমান, 26 জুন: রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর দেহ ৷ এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের হীরাগাছি এলাকায় ৷ মৃতের নাম সুভাষ দত্ত (44)। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷ তবে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, ঘটনায় শাসক দলের হাত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন ৷

স্থানীয় ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুভাষ দত্ত বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন ৷ তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের হীরাগাছির ঘোষপাড়ায় ৷ মঙ্গলবার রাত 12টা নাগাদ ব্যক্তিগত কাজে সুভাষ বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ৷ গভীর রাতে শক্তিগড়ের আমড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ জানা গিয়েছে, তাঁর কপাল ফেটে রক্ত ঝরছিল ৷ দুই পায়েও গভীর ক্ষত ছিল। পরিবারের তরফে এই বিষয়ে অবশ্য কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷

তবে সোশাল মিডিয়ায় প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লেখেন, "দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুভাষ দত্তের মরদেহ পাওয়া গেল শক্তিগড়ের আমড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ৷ অত্যন্ত মর্মাহত এই খবরে ৷ নির্বাচনের সময় খুব সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিলেন সুভাষ ৷ তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি ৷ এই কঠিন সময়ে পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি ৷ কীভাবে এই মৃত্যু হল তার তদন্ত হওয়া দরকার ৷ শাসক দলের হাত আছে কি না, সেটার জন্য আমরা তদন্ত দাবি করব ৷"

যদিও পরিবারের দাবি, গভীর রাতে সে হঠাৎ বাইক নিয়ে বের হল কেন, কেনই বা রেলগেটের একপারে বাইক রাখল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ একই সঙ্গে, কারও ফোন পেয়ে কি তিনি বেরিয়েছিলেন ? এদিকে বের হওয়ার সময় সঙ্গে মোবাইল রাখেননি কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷

মৃতের দাদা সমীর কুমার দত্ত বলেন, "রাতের দিকে নিজের ব্যক্তিগত কাজ আছে বলে বেরিয়ে গিয়েছিল। এরপর ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায় শুনেছি। গেটম্যান খবর দেন। গেটের এইপারে মোটর সাইকেল রেখে রেললাইন পারাপার করছিল ৷ দেহ জিআরপি নিয়ে গিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ভাই সক্রিয়ভাবে বিজেপির কর্মী ছিল ৷ ভোটের পরে তাকে ধমকানি দেওয়া হয়েছিল ৷ এখনও রাজনৈতিকভাবে কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না ৷"

পাশাপাশি মৃতের দাদা এও বলেন, "তবে অত রাতে বের হয়ে রেললাইনের এপারে বাইক রেখে কেন তিনি ওপারে যাওয়ার চেষ্টা করল সেটা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে গিয়েছিল। কেউ তাকে ফোন করে ডেকেছিল কি না, তাও বুঝে উঠতে পারছি না। তবে পুলিশ যদি তদন্ত করে দেখে তো বিষয়টি জানা যাবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.