কলকাতা, 20 অক্টোবর: ধর্মতলায় প্রতীকী অনশনে রয়েছেন চৈতী ঘোষাল, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্ত, তনিকা বসু, সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরসা দাশগুপ্ত এবং প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় । জুনিয়র ডাক্তারদের 10 দফা দাবি মেনে নেওয়ার আর্জি জানিয়েই অনশনে সামিল হয়েছেন তাঁরা । তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার মানবিকতা দেখিয়ে দাবিগুলি মেনে নিক ৷ এবিষয়ে ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চোখে জল চলে আসে দেবলীনা দত্তর ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে একবারের জন্য হলেও অনশনস্থলে আসার জন্য হাতজোড় করে অনুরোধ জানান দেবলীনা ৷ হতাশার সুরে তিনি বলেন, "রোজ সকালে ভাবি মাননীয়া আসবেন । রোজ হতাশ হয়ে ফিরে যাই । আপনিও তো অনশন করেছেন । আপনি তো জানেন এর কষ্ট । কোনও রাগারাগি বা বিরোধিতা নয় । একবার আসুন। মিটিয়ে নিন সবটা । গর্বের সঙ্গে বলতে চাই যে, এই সরকারকে আমরাই এনেছি । বিশ্বাস করুন, আমি কোনও রাজনীতি করতে আসিনি এখানে ।"
আরজি কর ইস্যুতে স্পষ্টবক্তা দেবলীনার স্লোগান ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হলেও তাতে এক প্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের প্রতিবাদ চালিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী । পাশে থেকেছেন এবং আছেন জুনিয়র ডাক্তারদের ।
অনশনমঞ্চে বসে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "জুনিয়র ডাক্তারদের সবক'টি দাবি নায্য । তাই পাশে আছি । প্রথম দাবি বিচার । সেটা সবসময়ই চাইছি আমরা সবাই । বাকিগুলোও খুব সাধারণ এবং ভীষণ প্রয়োজনীয় । সিসিটিভি লাগাতে কতক্ষণ সময় লাগে সেটা আমরা অনশনে এসে দেখে ফেলেছি । মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে 18টি সিসিটিভি লাগানো হয়ে গেল এখানে । আর ইলেকশন ? সেটা না-হলে তো সন্দীপ ঘোষের মতো লোকেরাই থাকবে ৷ কী ভয়ঙ্কর তাঁরা ! কর্মরত অবস্থায় খুন একটা হাসপাতালে ! আমি ভেবেছিলাম যে সরকারকে আমরা ভোট দিয়ে এনেছি সেই সরকার এই ঘটনার পর নিজে থেকে ডাক্তারদের ডেকে মিটিং করবেন যে, কীভাবে এই দুর্নীতি থেকে বেরনো যায় । কিন্তু না । তার জায়গায় এতদিন ধরে চলছে প্রতিবাদ, চলছে মিটিং, 15 দিন ধরে চলছে অনশন । অসুস্থ হচ্ছেন ডাক্তাররা ।"
দেবলীনা এদিন আরও বলেন, "অনেকে হয়ত বলবেন দেবলীনা তো হাসপাতালে যান না, নার্সিংহোমে যান । বিশ্বাস করুন, আমি সেই মানুষটাই না যাঁর নিজের বাড়িতে আগুন লাগলেই নড়ব চড়ব, আর অন্য কারও বাড়িতে আগুন লাগলে চুপ করে বসে থাকব । আমার বাড়ির পরিচারিকা তো হাসপাতালেই যান । তাঁকে নিয়ে ভাবব না আমি ? আমি এতটা স্বার্থপর হতে পারব না ।"