ETV Bharat / state

চিকিৎসা না-পেয়ে মৃত 29, পরিবার পিছু 2 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মমতার - Mamata Banerjee - MAMATA BANERJEE

Mamata Banerjee: চিকিৎসা না-পেয়ে রাজ্যের মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 29 ৷ পরিবার পিছু দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

Mamata Banerjee
ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 13, 2024, 6:16 PM IST

Updated : Sep 13, 2024, 7:05 PM IST

কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও চলছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তিন তিনবার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সেই আলোচনা সফল হয়নি। এই অবস্থায় ক্রমশ বাড়ছে পরিষেবা না পেয়ে সরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 29। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই পরিবারগুলির পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে, মৃতের পরিবার কিছু দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও চলছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তিনবার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সেই আলোচনা সফল হয়নি। অভিযোগ, ক্রমেই বাড়ছে পরিষেবা না পেয়ে সরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃতের পরিবার পিছু দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন ৷ প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের সাধারণ মানুষের পরিষেবার স্বার্থে কাজে ফেরার জন্য আহ্বান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে যেভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তার একটা পরিসংখ্যান তুলে ধরেছিলেন। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা ছিল 27।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এই আন্দোলনের ফলে প্রায় সাত লক্ষের বেশি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আরো দু'জন ব্যক্তি পেয়েছে। যদিও এরপরেও এদিন বিকেল পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে কোন আলোচনা বা সমাধান সূত্র দেখতে পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগের কথা ভেবে ও স্বজন হারা পরিবারগুলির পাশে থাকার স্বার্থেই আন্দোলন চলাকালীন বিনা চিকিৎসায় মৃতের পরিবার দুই লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এই অবস্থায় দেখার রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষ কীভাবে নেয়। পরিবারদের জন্য করা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা এবং ডেথ ট্রোল প্রসঙ্গে কী বা বললেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

যদিও গত কয়েকদিন ধরে চলা এই বিতর্কে কয়েকদিন আগেই মুখ খুলেছিল জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করার পর তাদের তরফ থেকেও একটা পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। যেখানে জুনিয়ার ডাক্তারদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম কিঞ্জল নন্দা জানান, 9 অগস্ট থেকে 8 সেপ্টেম্বর এই সময়ের মধ্যে 2024 সালের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে 23 জনের। 2023 সালে এই সংখ্যাটা ছিল 38 জন। 2022-এ ছিল 59। 2021-এ ছিল 178। আর 2020 সালে ছিল 429। যেখানে এই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার জানিয়েছেন তারা এই তথ্য বিভিন্ন হেল্প অফিসিয়াল থেকেই পেয়েছেন।

কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও চলছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তিন তিনবার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সেই আলোচনা সফল হয়নি। এই অবস্থায় ক্রমশ বাড়ছে পরিষেবা না পেয়ে সরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 29। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই পরিবারগুলির পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে, মৃতের পরিবার কিছু দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও চলছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তিনবার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সেই আলোচনা সফল হয়নি। অভিযোগ, ক্রমেই বাড়ছে পরিষেবা না পেয়ে সরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃতের পরিবার পিছু দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন ৷ প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের সাধারণ মানুষের পরিষেবার স্বার্থে কাজে ফেরার জন্য আহ্বান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে যেভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তার একটা পরিসংখ্যান তুলে ধরেছিলেন। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা ছিল 27।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এই আন্দোলনের ফলে প্রায় সাত লক্ষের বেশি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আরো দু'জন ব্যক্তি পেয়েছে। যদিও এরপরেও এদিন বিকেল পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে কোন আলোচনা বা সমাধান সূত্র দেখতে পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগের কথা ভেবে ও স্বজন হারা পরিবারগুলির পাশে থাকার স্বার্থেই আন্দোলন চলাকালীন বিনা চিকিৎসায় মৃতের পরিবার দুই লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এই অবস্থায় দেখার রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষ কীভাবে নেয়। পরিবারদের জন্য করা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা এবং ডেথ ট্রোল প্রসঙ্গে কী বা বললেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

যদিও গত কয়েকদিন ধরে চলা এই বিতর্কে কয়েকদিন আগেই মুখ খুলেছিল জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করার পর তাদের তরফ থেকেও একটা পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। যেখানে জুনিয়ার ডাক্তারদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম কিঞ্জল নন্দা জানান, 9 অগস্ট থেকে 8 সেপ্টেম্বর এই সময়ের মধ্যে 2024 সালের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে 23 জনের। 2023 সালে এই সংখ্যাটা ছিল 38 জন। 2022-এ ছিল 59। 2021-এ ছিল 178। আর 2020 সালে ছিল 429। যেখানে এই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার জানিয়েছেন তারা এই তথ্য বিভিন্ন হেল্প অফিসিয়াল থেকেই পেয়েছেন।

Last Updated : Sep 13, 2024, 7:05 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.