ETV Bharat / state

মঙ্গলে ঘূর্ণাবর্ত পরিণত হবে নিম্নচাপে, বৃহস্পতিতে 'দানা'র ল্যান্ডফল কোথায় ?

বঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলের মধ্যে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ৷ বর্তমানে কোথায়, কী অবস্থানে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত ? বিস্তারিত জানাল আইএমডি ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

Representative Image of Cyclone
বঙ্গে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (গেটি ইমেজ)

ভুবনেশ্বর ও কলকাতা, 21 অক্টোবর: বঙ্গে ফের ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত ৷ আইএমডি'র পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড় দানা 24 অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যের স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা ৷ সেই সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় 100-110 কিলোমিটার ৷

ঘূর্ণাবর্তটি বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ৷ মঙ্গলবারের মধ্যে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং 23 অক্টোবর বুধবারের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা ৷

এক্সে পোস্ট করে আইএমডি জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের উপর নিম্নচাপ এলাকাটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়েছে ৷ বর্তমানে সেটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৷ এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷

এরপর বুধবার সেটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ৷ তারপর তা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে ৷ এরপর তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে সেদিন রাত ও শুক্রবার ভোরে উত্তর ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের সাগরদ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ৷ তখন বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় 100-120 কিলোমিটার ৷

ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ত্রাণ কমিশনারের কার্যালয়ে (এসআরসি) 24 ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় ৷ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সিনিয়র আইএএস অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে । বালাসোর, ভদ্রক, জগৎসিংহপুর, পুরী, গঞ্জাম এবং গজপতি-সহ প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এনডিআরএফ, ওডিআরএএফ এবং ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে । সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ত্রাণ দলগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে শুরু করবে । জেলা আধিকারিকরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ।

রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি সোমবার প্রস্তুতি মূল্যায়ন এবং আরও সহায়তা প্রদানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা করেন। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাবের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ নাগরিকদের আতঙ্কিত না-হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ৷ জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ঝড় এবং সংশ্লিষ্ট বৃষ্টিপাতের আপডেট দেওয়া হবে । ওডিআরএএফ, এনডিআরএফ এবং ফায়ার সার্ভিসকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন । ত্রাণ শিবির ও দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলি প্রস্তুত রাখার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

ভুবনেশ্বর ও কলকাতা, 21 অক্টোবর: বঙ্গে ফের ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত ৷ আইএমডি'র পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড় দানা 24 অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যের স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা ৷ সেই সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় 100-110 কিলোমিটার ৷

ঘূর্ণাবর্তটি বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ৷ মঙ্গলবারের মধ্যে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং 23 অক্টোবর বুধবারের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা ৷

এক্সে পোস্ট করে আইএমডি জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের উপর নিম্নচাপ এলাকাটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়েছে ৷ বর্তমানে সেটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৷ এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷

এরপর বুধবার সেটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ৷ তারপর তা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে ৷ এরপর তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে সেদিন রাত ও শুক্রবার ভোরে উত্তর ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের সাগরদ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ৷ তখন বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় 100-120 কিলোমিটার ৷

ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ত্রাণ কমিশনারের কার্যালয়ে (এসআরসি) 24 ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় ৷ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সিনিয়র আইএএস অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে । বালাসোর, ভদ্রক, জগৎসিংহপুর, পুরী, গঞ্জাম এবং গজপতি-সহ প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এনডিআরএফ, ওডিআরএএফ এবং ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে । সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ত্রাণ দলগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে শুরু করবে । জেলা আধিকারিকরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ।

রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি সোমবার প্রস্তুতি মূল্যায়ন এবং আরও সহায়তা প্রদানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা করেন। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাবের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ নাগরিকদের আতঙ্কিত না-হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ৷ জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ঝড় এবং সংশ্লিষ্ট বৃষ্টিপাতের আপডেট দেওয়া হবে । ওডিআরএএফ, এনডিআরএফ এবং ফায়ার সার্ভিসকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন । ত্রাণ শিবির ও দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলি প্রস্তুত রাখার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.