ETV Bharat / state

ট্রেন স্বাভাবিক হলেও হুগলি নদীতে আজও বন্ধ ফেরি চলাচল, দানা প্রভাবহীন সুন্দরবনে

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব সেভাবে পড়ল না বসিরহাট মহকুমার ব্লকগুলিতে ৷ বিশেষত, সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জে ৷ আজ সকাল থেকে ওই এলাকায় স্বাভাবিক হয় ফেরি চলাচল ৷

CYCLONE DANA EFFECT
বসিরহাট মহকুমায় প্রভাব পড়ল না দানার ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 6 hours ago

হিঙ্গলগঞ্জ, 25 অক্টোবর: যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় দানায় ততটা প্রভাব দেখা গেল না সুন্দরবনের নদীবেষ্টিত হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ও মিনাখাঁ ব্লকে ! দানা'র প্রভাবে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল সুন্দরবন লাগোয়া এই ব্লকগুলিতে ৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল হিঙ্গলগঞ্জে ৷ কিন্তু, তেমন কোনও প্রভাবই এখানে পড়েনি বলে দাবি স্থানীয়দের ৷ এ দিন শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা ও হাসনাবাদ লাইনেও বেলা 10টার পর নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যায় ৷

এমনকি প্রভাব পড়েনি সন্দেশখালি 1 ও 2 এবং মিনাখাঁ ও হাড়োয়া ব্লকেও ৷ তবে, দানার প্রভাবে দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল ও মাঝেমধ্যে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে ৷ সঙ্গে হাওয়া বয়েছে ৷ বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই বলেই খবর প্রশাসন সূত্রে ৷ ঘূর্ণিঝড় দানা'র প্রভাব সেভাবে না-পড়ায় ফের হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালিতে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে ৷ যদিও বৃষ্টির জেরে ফেরিঘাটগুলিতে যাত্রী সংখ্যা অন‍্যান‍্য দিনের থেকে তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে ৷

বসিরহাট মহকুমায় প্রভাব পড়ল না দানার ৷ (ইটিভি ভারত)

অন্যদিকে, সকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টি, দৃশ্যমানতা কম থাকা ও জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় হুগলি নদীতে সারাদিনের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন ৷ উল্লেখ্য, আজ বেলা 12টার পর থেকে ফেরি পরিষেবা স্বাভাবিক করার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু, হুগলি নদী উত্তাল থাকায় যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে পরিষেবা আজকের মতো বন্ধ রাখা হয়েছে ৷

বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চলেছে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া ৷ ওড়িশায় রাত থেকে ঘূর্ণঝড়ের গতি সর্বোচ্চ 120 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা উঠেছিল ৷ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ৷ সঙ্গে ছিল অতি ভারী বৃষ্টির দাপট ৷

Cyclone Dana Effect
নির্ধারিত সময় শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় স্বাভাবিক হল ট্রেন চলাচল ৷ (নিজস্ব চিত্র)

আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ৷ এছাড়া দক্ষিণ 24 পরগনার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাতেও ঝড়ের প্রভাব পড়বে বলে জানানো হয়েছিল ৷ যদিও, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সেভাবে পড়তে দেখা যায়নি সুন্দরবনের আরেক উপকূলবর্তী জেলা উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট মহকুমাতে ৷ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত, এমনকি ল্যান্ডফলের সময়েও এই মহকুমার দশটি ব্লকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও হালকা ঝোড়ো হাওয়া ছাড়া কোনও প্রভাব পড়েনি ৷

যার ফলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা ৷ তাঁরা ঘূর্ণিঝড় দানা'র আশঙ্কায় কয়েকদিন ধরেই তটস্থ হয়েছিলেন ৷ আতঙ্কে বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উড়েছিল ৷ ফলে কোনও রকম ঝুঁকি না-নিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল জেলা প্রশাসন ৷ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষকে ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর প্রশাসন সূত্রে ৷ এছাড়া, দানা'র মোকাবিলায় যাবতীয় বন্দোবস্ত সেরে রেখেছিলেন আধিকারিকরা ৷

পাশাপাশি, শিয়ালদা থেকে হাসনাবাদ লোকাল বন্ধ রাখা হয় বৃহস্পতিবার রাত 8টার পর থেকে ৷ পূর্ব রেলের ঘোষণা মতো, শিয়ালদা দক্ষিণ ও হাসনাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন 14 ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ মোট 190টি ট্রেন বাতিল হয়েছে এই সময়ের মধ্যে ৷ তবে, আজ সকাল 10টার পর থেকে একে একে স্বাভাবিক হয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা ৷ শিয়ালদা উত্তর থেকে প্রথম হাসনাবাদ লোকাল ছাড়ে সকাল 11টা 7 মিনিটে ৷

Cyclone Dana Effect
হুগলি নদীতে ফেরি চলাচল সারাদিনের মতো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা থেকে সকাল 10টায় সোনারপুর লোকাল প্রথম ছেড়ে যায় ৷ এরপর নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, এক এক করে বিভিন্ন শাখার পরিষেবা শুরু হয় ৷ পাশাপাশি, বজবজ লোকাল বাদে, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার প্রান্তিক স্টেশনগুলি থেকেও সকাল 9টার পর থেকে একে একে ট্রেন চালানো হয় ৷ উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে শিয়ালদা দক্ষিণ ও উত্তরে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়া বা লাইনে গাছ ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেনি ৷ ফলে পূর্ব ঘোষণা মতো, নির্ধারিত সময়ে পরিষেবা শুরু হয়ে যায় ৷

হিঙ্গলগঞ্জ, 25 অক্টোবর: যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় দানায় ততটা প্রভাব দেখা গেল না সুন্দরবনের নদীবেষ্টিত হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ও মিনাখাঁ ব্লকে ! দানা'র প্রভাবে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল সুন্দরবন লাগোয়া এই ব্লকগুলিতে ৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল হিঙ্গলগঞ্জে ৷ কিন্তু, তেমন কোনও প্রভাবই এখানে পড়েনি বলে দাবি স্থানীয়দের ৷ এ দিন শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা ও হাসনাবাদ লাইনেও বেলা 10টার পর নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যায় ৷

এমনকি প্রভাব পড়েনি সন্দেশখালি 1 ও 2 এবং মিনাখাঁ ও হাড়োয়া ব্লকেও ৷ তবে, দানার প্রভাবে দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল ও মাঝেমধ্যে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে ৷ সঙ্গে হাওয়া বয়েছে ৷ বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই বলেই খবর প্রশাসন সূত্রে ৷ ঘূর্ণিঝড় দানা'র প্রভাব সেভাবে না-পড়ায় ফের হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালিতে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে ৷ যদিও বৃষ্টির জেরে ফেরিঘাটগুলিতে যাত্রী সংখ্যা অন‍্যান‍্য দিনের থেকে তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে ৷

বসিরহাট মহকুমায় প্রভাব পড়ল না দানার ৷ (ইটিভি ভারত)

অন্যদিকে, সকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টি, দৃশ্যমানতা কম থাকা ও জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় হুগলি নদীতে সারাদিনের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন ৷ উল্লেখ্য, আজ বেলা 12টার পর থেকে ফেরি পরিষেবা স্বাভাবিক করার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু, হুগলি নদী উত্তাল থাকায় যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে পরিষেবা আজকের মতো বন্ধ রাখা হয়েছে ৷

বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চলেছে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া ৷ ওড়িশায় রাত থেকে ঘূর্ণঝড়ের গতি সর্বোচ্চ 120 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা উঠেছিল ৷ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ৷ সঙ্গে ছিল অতি ভারী বৃষ্টির দাপট ৷

Cyclone Dana Effect
নির্ধারিত সময় শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় স্বাভাবিক হল ট্রেন চলাচল ৷ (নিজস্ব চিত্র)

আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ৷ এছাড়া দক্ষিণ 24 পরগনার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাতেও ঝড়ের প্রভাব পড়বে বলে জানানো হয়েছিল ৷ যদিও, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সেভাবে পড়তে দেখা যায়নি সুন্দরবনের আরেক উপকূলবর্তী জেলা উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট মহকুমাতে ৷ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত, এমনকি ল্যান্ডফলের সময়েও এই মহকুমার দশটি ব্লকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও হালকা ঝোড়ো হাওয়া ছাড়া কোনও প্রভাব পড়েনি ৷

যার ফলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা ৷ তাঁরা ঘূর্ণিঝড় দানা'র আশঙ্কায় কয়েকদিন ধরেই তটস্থ হয়েছিলেন ৷ আতঙ্কে বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উড়েছিল ৷ ফলে কোনও রকম ঝুঁকি না-নিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল জেলা প্রশাসন ৷ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষকে ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর প্রশাসন সূত্রে ৷ এছাড়া, দানা'র মোকাবিলায় যাবতীয় বন্দোবস্ত সেরে রেখেছিলেন আধিকারিকরা ৷

পাশাপাশি, শিয়ালদা থেকে হাসনাবাদ লোকাল বন্ধ রাখা হয় বৃহস্পতিবার রাত 8টার পর থেকে ৷ পূর্ব রেলের ঘোষণা মতো, শিয়ালদা দক্ষিণ ও হাসনাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন 14 ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ মোট 190টি ট্রেন বাতিল হয়েছে এই সময়ের মধ্যে ৷ তবে, আজ সকাল 10টার পর থেকে একে একে স্বাভাবিক হয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা ৷ শিয়ালদা উত্তর থেকে প্রথম হাসনাবাদ লোকাল ছাড়ে সকাল 11টা 7 মিনিটে ৷

Cyclone Dana Effect
হুগলি নদীতে ফেরি চলাচল সারাদিনের মতো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা থেকে সকাল 10টায় সোনারপুর লোকাল প্রথম ছেড়ে যায় ৷ এরপর নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, এক এক করে বিভিন্ন শাখার পরিষেবা শুরু হয় ৷ পাশাপাশি, বজবজ লোকাল বাদে, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার প্রান্তিক স্টেশনগুলি থেকেও সকাল 9টার পর থেকে একে একে ট্রেন চালানো হয় ৷ উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে শিয়ালদা দক্ষিণ ও উত্তরে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়া বা লাইনে গাছ ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেনি ৷ ফলে পূর্ব ঘোষণা মতো, নির্ধারিত সময়ে পরিষেবা শুরু হয়ে যায় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.