কলকাতা, 19 জুন: এবারের লোকসভা ভোটেও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বামেদের । শূন্যের গেরো কাটাতে পারেনি সিপিআইএম । ভোটের সেই ফলাফল নিয়ে তোলপাড় হল সিপিআইএমের রাজ্য কমিটি । কারণ, সিপিআইএম-এর জেলা কমিটির সম্পাদক এই ভোট বিপর্যয়ের দায় নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন । আর তাতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । এদিকে, বুধবারের বৈঠকের শুরুতে সিপিআইএমের বর্তমান রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ভোট বিপর্যয়ের একাধিক কারণ উল্লেখ করেন । তিনিও কার্যত ঘুরপথে বাম-কংগ্রেস জোটের সমন্বয়ের অভাব এবং দেরিতে সমন্বয় গঠন হওয়াকেই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন । আইএসএফয়ের সঙ্গে আসনরফা ভেস্তে যাওয়াকেও দায়ী করা হয়েছে ৷
সূত্রের খবর, সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে হারের দায় নিয়ে পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন সিপিআইএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, তিনি যখন জেলা সম্পাদক তখন দলের হারের ব্যর্থতা নিয়ে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত ।" তবে, নিজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি এই বিপর্যের জন্য দায় নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ নেতাদেরও পদত্যাগ করার ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন কি না তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে । গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় নিজের তুলনা টেনে মুজাফফর আহমেদ ভবনের নেতাদেরই বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন । যদিও সে বিষয়ে কেউই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে নারাজ ।
সূত্রের আরও দাবি, বুধবারের বৈঠকের শুরুতেই সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হতে দেরি হয়েছে । জোটের মধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাব ছিল । আইএসএফের সঙ্গে আসনরফা ভেস্তে যাওয়ায় সমন্বয়ের অভাবে নেতিবাচক ফল হয়েছে । এসব কারণেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে দ্বিমুখী লড়াইয়ে সিপিআইএম কোনও দাগই কাটতে পারেনি । ফলে, ইন্ডিয়া জোট সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সফলতা পেলেও সেই ইন্ডিয়া জোটে থেকেও বাংলায় কংগ্রেস ও সিপিআইএম ব্যর্থ । কারণ, বিজেপিকে হারাতে মানুষ এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটে আস্থা দেখায়নি । বরং, তৃণমুলের প্রতি ভরসা রেখেছে । তাই চব্বিশের শূন্য থেকে শিক্ষা নিয়ে সংগঠন শক্তিশালী ও আন্দোলন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে বৈঠকে ।"