কলকাতা, 31 মার্চ: 3 দিন পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি । ফের ভোট প্রচারে সায়রা শাহ হালিমকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ । এবার ঘটনাস্থল রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র বন্দর এলাকা ৷ এর জেরে রবিবার সকালে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন কলকাতা দক্ষিণের এই সিপিএম প্রার্থী । নির্বাচন কমিশনের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিশ ভোট প্রচারে বাধা দিচ্ছে, সে বিষয়ে বারে বারে প্রশ্ন তোলেন বাম কর্মী সমর্থকরা ।
এর আগে গত 28 তারিখে একইভাবে ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডে সায়রাকে ভোট প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে । ওই এলাকায় থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সেদিন সকালে সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে ওই এলাকায় ভোট প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে । প্রায় দশ মিনিট ধরে পুলিশের সঙ্গে সায়রা শাহ হালিমের তর্ক হয় সেদিন। পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দেন প্রার্থী। পরে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগও করা হয় ।
একইভাবে এদিন কলকাতা পৌরনিগমের 133 নম্বর ওয়ার্ডের গার্ডেনেরিচ থানার হরিবাবু পল্লি লেনে বাম প্রার্থীকে ভোট প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । সিপিএম কর্মী জয়ব্রত বেরা সায়রা শাহ হালিমের হয়ে নির্বাচন কমিশনের থেকে ভোট প্রচারের অনুমতি গ্রহণ করেন । তিনি বলেন, "সকাল সাড়ে 9টা থেকে বন্দর বিধানসভা এলাকায় ভোট প্রচারের অনুমতি নেওয়া হয়েছে । বেলা 1টা পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরার কথা ছিল । কিন্তু আচমকা হরিবাবু পল্লি লেনে প্রবেশে বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ । তাঁদের বক্তব্য, রুট পরিবর্তন করা হয়েছে । কিন্তু আমাদের কাছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই । আমাদের জানানো হয়নি ।" খেয়াল খুশি মতো রুট পরিবর্তন হয় কীভাবে, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন সিপিএম কর্মী সমর্থকরা ।
এদিকে, সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের যুক্তি, আইন অনুযায়ী রাস্তা সকলের । সেখানে কেন তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে ? অনুমতি থাকলে প্রচারে বাধা দিতে পারে না পুলিশ । ঘটনার ভিডিয়ো শেয়ার করে সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির এক নেতার অভিযোগ, "ফের 'চটিচাটা', 'দলদাস' পুলিশ বাধা দিল ! নিবার্চন কমিশনের অনুমতি থাকার পরও সায়রা শাহ হালিমের অঞ্চল পরিক্রমায় বাধা দিল গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ ।"
আরও পড়ুন: