কলকাতা, 1 জুন: শেষ দফার ভোটের আগে ফিরল গণ্ডগোলের স্মৃতি। মুখে সিপিএমকে তাচ্ছিল্য করলেও বাস্তবে যে বামেরা গলার কাটা হতে পারে, সেই আশঙ্কা করছে শাসকদল ৷ ভোটের আগের দিনভর যাদবপুর থেকে ডায়মন্ড হারবার চলল সিপিএম কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন সৃজন। হাসপাতালে কর্মীদের দেখতে গেলেন প্রতীক উর। ভোটের দিন তৈরি করা হয়েছে বিশেষ টিম। কিছুদিন আগেই যাদবপুরে সিপিএমের সভা না করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ক্যান্সার আক্রান্ত এক সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে পাটুলি থানা ঘেরাও করেছিলেন সিপিএম কর্মীরা। তারপরেও চলছে বিভিন্নভাবে কর্মী, বুথ এজেন্টদের ভয় দেখানো। ভোটের আগের দিন হৃদরোগজনিত সমস্যা থাকা এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগে তোলপাড় হয় যাদবপুর।
সিপিএম প্রার্থী খবর পেয়ে গিয়ে দেখা করেন আক্রান্তদের সঙ্গে। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর পুলিশের সঙ্গেও বচসা হয়। সৃজনের কথায়, "বিভিন্ন জায়গায় মারধর, ভয় দেখানো চলছে দলের কর্মীদের। পুলিশকে জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সন্ত্রাস পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল সুবিধা করতে পারবে না। মানুষ জবাব দেবে। পুলিশ তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে ।" যদিও পুলিশ তরফে এই বিষয় কিছু মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে একই অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান। তাঁর কথায়, "কয়েকদিন ধরে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস করছে। বাড়ি বাড়ি ঢুকে মারছে। পার্টি অফিসে এজেন্ট তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখছে।"
অন্যদিকে, কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের বেহালা এলাকার সিপিএম নেতা কৌস্তব চট্টোপাধ্যায় কমিশনকে অভিযোগ করেছেন। তাঁর কথায়, "এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি চলছে। ব্যানার-পতাকা খুলে ফেলে দিচ্ছে। লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটের দিন কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুরের মতো কেন্দ্রে সিপিএম বিধানসভা ভিত্তিক বিশেষ ওয়ার রুম করা হয়েছে, যা বিশেষ টিম পরিচালনা করবে। প্রতি টিমে থাকছেন 10 জন কর্মী। তাদের নম্বর দেওয়া থাকছে এজেন্ট থেকে কর্মী সমর্থকদের। মহুর্তে কিছু ঘটনা তাদের জানাতে পারবেন। যেমন, দলীয় ভাবে এগোনো হবে তেমন নির্বাচন কমিশন পুলিশ সাংবাদিকদের জানান হবে। সেই কাজটা মুহূর্তে করবে এই টিম।"