ETV Bharat / state

'159 গ্রামীণ লোকসভার ভোটার মোদির বিরুদ্ধে', পলিটব্যুরোয় কী বার্তা সিপিএমের ? - CPIM Polit Bureau Meeting

CPIM Polit Bureau Meeting: গ্রামীণ ভারত অর্থাৎ 159টি লোকসভার ভোটার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ৷ পলিটব্যুরো বৈঠকের পর এমনই দাবি সিপিআইএমের ৷ তারা আন্দোলন জারি রাখার বার্তা দিয়েছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 10, 2024, 7:52 PM IST

ETV BHARAT
পলিটব্যুরোয় আন্দোলন জারি রাখার বার্তা সিপিএমের (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 10 জুন: রুটি-রুজি, অধিকারের প্রশ্নে দেশজুড়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেছিল বামেরা । তাঁরা বঙ্গ-কেরলে খুব একটা ভালো করতে না-পারলেও সামগ্রিক ভাবে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তারা খুশি । একই ভাবে তাঁদের বিচার বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, 'গ্রামীণ ভারত'-এর মানুষ চেয়েছে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের পতন হোক । কিন্তু, বিজেপি একার জোরে ক্ষমতায় ফিরতে না-পারলেও সরকার গঠন করেছে । তাই, রুটি-রুজি, অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করল সিপিআইএম ।

গতকাল দিল্লিতে সিপিআইএমের পলিটব্যুরো বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর । সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিপিএম পলিটব্যুরো বলেছে,"নির্বাচনী ফলাফল থেকে স্পষ্ট - মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ মিলিয়ে পাঁচটি রাজ্যে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়েছে । বিজেপি এই 5 রাজ্য থেকেই 38টি আসনে হারিয়েছে । জীবিকা ধ্বংসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ভারত মোদি সরকারকে শিক্ষা দিয়েছে । অনুমান করা হয়েছে যে, 159টি গ্রামীণ নির্বাচনী এলাকায় মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে । নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও মোদির আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার হতে থাকবে । ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলিকে হিন্দুত্ব স্বৈরাচারী প্রবণতা এবং হিন্দুত্ব-কর্পোরেট সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র, জনগণের জীবিকা, অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ফেডারেলিজম রক্ষা করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে জারি রাখতে হবে । ফ্যাসিস্ট পদ্ধতি ব্যবহারকারী হিন্দুত্ববাদী কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আগামী দিনে আরও জোরদার করতে হবে । যা সংসদের ভেতরে ও বাইরে করতে হবে ।"

দেশের 18তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর গতকাল সিপিআইএমের প্রথম পলিটব্যুরো বৈঠক বসে । সেই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয়েছে । সিপিআইএমের বক্তব্য, 400-এ পৌঁছনোর জন্য প্রচার চালিয়েও, বিজেপির সংখ্যা এখন 240টি আসন । বিদায়ী লোকসভার 303টি আসনের থেকে 63টি কম । এটি 20 শতাংশেরও বেশি হ্রাস । বিজেপি এখন নিজস্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে 32 আসন কম । যাইহোক, তার সহযোগীরা অতিরিক্ত 52টি আসন জিতেছে, এনডিএ-র 292টি আসন রয়েছে । যা প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে 20 বেশি । ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলো একসঙ্গে 234টি আসন জিতেছে । সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে 38টি আসন কম । নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এনডিএ-র সমস্ত নির্বাচনী এলাকা একত্রে 43.31 শতাংশ ভোট পেয়েছে । ইন্ডিয়া ব্লক পেয়েছে 41.69 শতাংশ ভোট । উভয় জোটের মধ্যে ভোট ভাগের পার্থক্য 2 শতাংশেরও কম ।

সিপিআইএমের কথায়, এই তফাৎটাও তৈরি করতে ব্যর্থ হত মোদি সরকার, যদি না বিরোধী দলগুলির উপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যাপক আক্রমণ, অপব্যবহার এবং অর্থশক্তির ব্যাপক ব্যবহার না করত । দেশের দুই মুখ্যমন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে । কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের (কেরলের একটি জেলায়) মতো রাজনৈতিক দলগুলির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে । বিজেপি বিরোধীদের বিভক্ত করার জন্য বিজেপি সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেছিল বলেও অভিযোগ সিপিআইএমের ৷

কলকাতা, 10 জুন: রুটি-রুজি, অধিকারের প্রশ্নে দেশজুড়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেছিল বামেরা । তাঁরা বঙ্গ-কেরলে খুব একটা ভালো করতে না-পারলেও সামগ্রিক ভাবে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তারা খুশি । একই ভাবে তাঁদের বিচার বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, 'গ্রামীণ ভারত'-এর মানুষ চেয়েছে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের পতন হোক । কিন্তু, বিজেপি একার জোরে ক্ষমতায় ফিরতে না-পারলেও সরকার গঠন করেছে । তাই, রুটি-রুজি, অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করল সিপিআইএম ।

গতকাল দিল্লিতে সিপিআইএমের পলিটব্যুরো বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর । সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিপিএম পলিটব্যুরো বলেছে,"নির্বাচনী ফলাফল থেকে স্পষ্ট - মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ মিলিয়ে পাঁচটি রাজ্যে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়েছে । বিজেপি এই 5 রাজ্য থেকেই 38টি আসনে হারিয়েছে । জীবিকা ধ্বংসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ভারত মোদি সরকারকে শিক্ষা দিয়েছে । অনুমান করা হয়েছে যে, 159টি গ্রামীণ নির্বাচনী এলাকায় মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে । নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও মোদির আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার হতে থাকবে । ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলিকে হিন্দুত্ব স্বৈরাচারী প্রবণতা এবং হিন্দুত্ব-কর্পোরেট সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র, জনগণের জীবিকা, অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ফেডারেলিজম রক্ষা করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে জারি রাখতে হবে । ফ্যাসিস্ট পদ্ধতি ব্যবহারকারী হিন্দুত্ববাদী কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আগামী দিনে আরও জোরদার করতে হবে । যা সংসদের ভেতরে ও বাইরে করতে হবে ।"

দেশের 18তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর গতকাল সিপিআইএমের প্রথম পলিটব্যুরো বৈঠক বসে । সেই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয়েছে । সিপিআইএমের বক্তব্য, 400-এ পৌঁছনোর জন্য প্রচার চালিয়েও, বিজেপির সংখ্যা এখন 240টি আসন । বিদায়ী লোকসভার 303টি আসনের থেকে 63টি কম । এটি 20 শতাংশেরও বেশি হ্রাস । বিজেপি এখন নিজস্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে 32 আসন কম । যাইহোক, তার সহযোগীরা অতিরিক্ত 52টি আসন জিতেছে, এনডিএ-র 292টি আসন রয়েছে । যা প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে 20 বেশি । ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলো একসঙ্গে 234টি আসন জিতেছে । সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে 38টি আসন কম । নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এনডিএ-র সমস্ত নির্বাচনী এলাকা একত্রে 43.31 শতাংশ ভোট পেয়েছে । ইন্ডিয়া ব্লক পেয়েছে 41.69 শতাংশ ভোট । উভয় জোটের মধ্যে ভোট ভাগের পার্থক্য 2 শতাংশেরও কম ।

সিপিআইএমের কথায়, এই তফাৎটাও তৈরি করতে ব্যর্থ হত মোদি সরকার, যদি না বিরোধী দলগুলির উপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যাপক আক্রমণ, অপব্যবহার এবং অর্থশক্তির ব্যাপক ব্যবহার না করত । দেশের দুই মুখ্যমন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে । কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের (কেরলের একটি জেলায়) মতো রাজনৈতিক দলগুলির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে । বিজেপি বিরোধীদের বিভক্ত করার জন্য বিজেপি সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেছিল বলেও অভিযোগ সিপিআইএমের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.