কলকাতা, 29 অক্টোবর: তন্ময় ভট্টাচার্যের প্রশ্নে পার্টি সদস্য, সমর্থক ও দরদীদের মুখ না-খোলার বার্তা দেওয়া হয়ে ছিল সোমবার । মঙ্গলবার পার্টির সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে 'সদস্যদের কষ্টিপাথরে' যাচাইয়ের তুলনা টানলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ।
তিনি বলেন, "সিপিএম দেশের মধ্যে একমাত্র দল যাদের মহিলা সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য আলাদা তদন্ত কমিটি আছে । মহিলাদের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক কিংবা কোনও নেতার প্রভাব খাটানোর জায়গা নেই । এতদিন দলের অভ্যন্তরে অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত করা হত, এখন যে কেউ এই ধরনের অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।"
মঙ্গলবার তন্ময় ভট্টাচার্য সম্পর্কে দলের বক্তব্য কর্মী-সমর্থকদের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ তিনি জানান, বিষয়টি এখন আইসিসি দেখছে অর্থাৎ দলের বিবেচনাধীন । এমতাবস্থায় দলের কোনও সদস্যের প্রকাশ্যে বা সমাজমাধ্যমে কোনও বক্তব্য রাখা বা মত প্রকাশ করা সমীচীন নয় । দলের দরদী, সমর্থক ও বন্ধুদেরও এই বিতর্কে অংশ না নেওয়াই অভিপ্রেত ।"
কিন্তু, তারপরও বিতর্ক থামছে না । সোমবার বরানগর থানা থেকে বেরিয়ে নিজের বাড়িতে তন্ময় ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে অভিযোগকারিণী ও নিজের ওজন নিয়ে যে কথা বলেছেন তাতেও বিতর্ক শুরু হয়েছে । এইসব ইস্যুতে তন্ময়ের বিরুদ্ধে মিছিল করে শাসকদল তৃণমূল । এ প্রসঙ্গে সেলিম বলেন,"সব কিছুর মরাল অথরিটি আছে । আরজি করে ভাঙচুর হল কোনও ব্যবস্থা নিল না । আজ পর্যন্ত তদন্ত করল না ৷ গোটা দেশের মধ্যে গর্বের সঙ্গে বলি, দলের মধ্যে কেবল সিপিআইএম সমর্থকদের মধ্যে নীতি নৈতিকতা রাখে । কোনও কিছু হলে নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় । সিপিআইএম প্রথম অভ্য়ন্তরীণ তদন্ত করে । এটা কোনও সালিশি সভা নয় । আমরা অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে পাঠিয়েছি ।"
সেলিমের আরও দাবি, "সিপিএম পার্টিতে মিসড কলে সদস্যপদ পাওয়া যায় না । আজীবনও সদস্য পদ পাওয়া যায় না । প্রতিবছর কাজের পারফরম্যান্স বিচার করে সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ হয় । কষ্টিপাথরে যাচাইয়ের মতো । যা দেশের অন্য কোনও রাজনৈতিক দল করে না । তৃণমূল তো নয়ই । পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবীর খাটের তলা থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া গেল । সেই পার্থ আবার তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন । আসলে তৃণমূল-বিজেপি সরকারি নিয়মনীতিই মানে তারা আবার কী বুঝবে ।"