বনগাঁ, 27 ফেব্রুয়ারি: জমি বিবাদে গৃহবধূকে খুনের মামলায় পরিবারের তিন সদস্যের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। মামলা দায়েরের এক বছরের মাথায় সাজা ঘোষণা করলেন বনগাঁ মহকুমার আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত 2-এর বিচারক পরেশচন্দ্র কর্মকার । গৃহবধূ খুনে ঘটনায় মৃতার দেওর অমর কীর্তনীয়া, শাশুড়ি সারথী কীর্তনীয়া এবং ননদ রাধিকা কীর্তনীয়াকে 23 ফেব্রুয়ারি দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৷ মঙ্গলবার তাদের সাজা ঘোষণা হল । বিচারকের রায়ে খুশি নিহত গৃহবধূর পরিবার-সহ এলাকাবাসী ৷ সরকারপক্ষের আইনজীবীকে ফুলের মালা পরিয়ে কৃতজ্ঞতা জানান গ্রামবাসীরা ।
জানা গিয়েছে, 2023 সালের 27 ফেব্রুয়ারি উত্তর 24 পরগনার গোপালনগর থানার হাটখোলা এলাকায় ফুলমালা কীর্তনীয়া নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করা হয় । অভিযোগ উঠেছিল পারিবারিক জমি বিবাদে বৌদিকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে দেওর অমর কীর্তনীয়া । অভিযোগ পেয়ে অমরকে গ্রেফতার করে পুলিশ । খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগে পরবর্তীতে গ্রেফতার হন ফুলমালার শাশুড়ি সারথী কীর্তনীয়া এবং ননদ রাধিকা কীর্তনীয়া ৷ এক বছর ধরে চলে সেই মামলার শুনানি ।
এই বিষয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় দাস জানান, ফুলমালাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল । খুনের মামলায় তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ । যার মধ্যে রাধিকা হাইকোর্ট থেকে জামিন পায় । বাকি দু'জনের কাস্টডি ট্রায়াল হল । এই মামলায় পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শী-সহ মোট 25 জন সাক্ষী দেয় । বিচারক তৎপরতার সঙ্গে মামলার শুনানি করান । আজ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন বিচারক পরেশচন্দ্র কর্মকার ।
আজকের এই রায়কে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন নিহতের পরিবারের সদস্য-সহ এলাকাবাসী । অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা । ফাঁসি না-হলেও যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় খুশি নিহতের পরিবার । তাঁদের বক্তব্য, বোনকে আর ফিরে পাবেন না । কিন্তু আসামীরা যেন সারা জীবন জেলে থাকে । যাতে এমন ঘটনা আর ঘটাতে না পারে । তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী দেবাকর বিশ্বাস । তিনি জানান, অনেক সাক্ষীকে ডাকা হয়নি । রায়ের কপি দেখে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন ।
আরও পড়ুন :