জলপাইগুড়ি, 5 অগস্ট: মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেই বিপুল পরিমান জরিমানা গুনতে হয় ৷ কিন্তু মদ্যপান করে তীর্থ যাত্রা করলে কি হবে তা কোথাও উল্লেখ নেই ৷ তাই সাত-পাঁচ ভেবে 'গাঁধি গিরি' বেছে নিলেন পুলিশ কর্মীরা ৷ মদ্যপ যুবকদের নেশা কাটাতে লেবু-জল খাওয়াল পুলিশ। এমন ঘটনা কখনও শুনেননি তো, রবিবার এমনই ছবি দেখা গেল ধূপগুড়িতে ৷ পুলিশের এই কাজকেই সাধুবাদ জানিয়েছে শহরবাসী।
জানা গিয়েছে, এদিন রাতে ফালাকাটা থেকে তিন যুবক একটি বাইকে করে ময়নাগুড়ির জল্পেশ বাবার মন্দিরে জল ঢালতে যাচ্ছিলেন। শ্রাবণ মাস উপলক্ষ্যে এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলছিল ৷ পুণ্যার্থীদের সুবিধার কথা ভেবেই এই উদ্যোগ ৷ শহরের রাস্তায় টহল দিচ্ছিলেন ট্রাফিক গার্ডের ওসি বসন্ত পাখরিন লামা। সেই সময় একটি বাইকে তিন যুবক দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর কারণে তাদেরকে আটক করে পুলিশ ৷ যুবক কথা বার্তায় অসঙ্গতি দেখা যায়, তাঁরা মদ্যপান করেছে কি না পরীক্ষা করে ৷ তাতেই ধরা পড়েছে ওই তিন যুবক মদ্যপ ৷ এই অবস্থায় বাইক চালালে যেকোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ৷ তখনই তাদের লেবুজল পান করান কর্তব্যরত পুলিশ ৷ প্রায় এক ঘন্টা ধরে তাদের বসিয়ে রাখেন ট্রাফিক গার্ডের ওসি-সহ ট্রাফিক কর্মীরা। নেশা কাটানোর পর তীর্থস্থানে উদ্দেশ্যে রওনা দেন ফালাকাটার তিন যুবক।
শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ে জল্পেশ মন্দিরে ৷ সাধারণ মানুষের জন্য সচেতনতার প্রসার চালানো হয় ৷ অভিযোগ, এক শ্রেনির মানুষ নিজের পরিবারের কথা না ভেবে মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়ে তীর্থ স্থানে যান। এসব মানুষের বিরুদ্ধে পুলিশকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়ে শহরবাসী। ধূপগুড়ি ট্রাফিক গার্ডের ওসি বসন্ত পোখরিন লামা বলেন, "মদ্যপ অবস্থায় ছিল ওই যুবকরা, তীর্থ করতে যাচ্ছিলেন। তাদেরকে সুস্থ করে তারপর ছাড়া হয়।"