বংশিহারী, 24 মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের প্রশিক্ষণে দুপুরের খাবার পেলেন না ভোটকর্মীরা ৷ প্রশিক্ষণও শেষ হল সময়ের আগেই ৷ তাই একরাশ ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন সরকারি কর্মীরা ৷ কথা ছিল, ভোটের ট্রেনিংয়ে খাবারের আয়োজন করবে জেলা প্রশাসন ৷ তা তো হলই না, যাঁরা রোজা রেখেছেন, তাঁদের রোজা ভাঙার জন্য খাবারের বন্দোবস্ত নেই ৷ প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ অসম্পূর্ণ রইল ৷ তবে এর জন্য অনেকেই নির্বাচন কমিশনকে দুষছেন ৷ কেউ আবার জেলা প্রশাসনের দিকেও আঙুল তুলেছেন ৷ তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সময়মতো খাবার এসে পৌঁছয়নি ৷ তাই এমন বিপত্তি ৷
শনিবার এমনটাই ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশিহারী বালিকা বিদ্যালয়ে ৷ এদিন এখানে সকাল 9টা থেকে বিকেল 5টা পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের প্রিসাইডিং এবং ফার্স্ট পোলিং ভোট কর্মীদের ট্রেনিং ছিল ৷ কুশমন্ডি, হরিরামপুর ও গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রিসাইডিং অফিসার-সহ বহু ভোটকর্মীদের প্রথম দফার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল জেলা প্রশাসন ৷
নিয়মমতো ট্রেনিংয়ের মাঝে দুপুরে প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়া শিক্ষক বা অন্য সরকারি কর্মীদের লাঞ্চ দেওয়ার কথা ৷ বংশীহারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রায় 800 জন সরকারি কর্মী ছিল ৷ এদিকে তাঁরা দুপুরের খাবারটুকুও পাননি বলে অভিযোগ ৷ যাঁরা রোজা পালন করছেন, তাঁদের জন্যও আলাদা কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলেই অভিযোগ উঠেছে ৷ ফলে একপ্রকার অভুক্ত থেকেই বাড়ি ফিরে গেলেন ভোট কর্মীরা ৷
এক ভোটকর্মী রেজাউল করিম বলেন, "আজকে এই স্কুলে প্রিসাইডিং এবং ফার্স্ট পোলিংদের ট্রেনিং ছিল ৷ সকাল ন'টার সময় আমরা বংশীহারি বালিকা বিদ্যালয়ে চলে আসি ৷ বিকেল 5টা পর্যন্ত আমাদের ট্রেনিং হবে বলে কথা ছিল ৷ কিন্তু মাঝপথে তা থামিয়ে দেওয়া হল ৷ বলা হল, আজ আর ট্রেনিং হবে না ৷ এখানে প্রায় 800 জন এসেছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে 100-150 জনের খাবার এসেছে ৷ বাকিরা অভুক্ত থেকে গেল ৷ এর জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করব ৷"
অক্ষয় রায় নামে আরেক ভোট কর্মী বলেন, "আমরা এখানে নির্ধারিত সময়ে চলে এসেছিলাম । কিন্তু আমাদের সঠিক সময়ে লাঞ্চ দেওয়ার ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি জেলা প্রশাসন ৷ যিনি এখানে লাঞ্চের ব্যবস্থা করেছেন তিনি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ ৷ আমরা কিন্তু ভীষণভাবে ক্ষুধার্ত ৷ আমরা এখানে ট্রেনিং নিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপস্থিত হয়েছি ৷ আজ ট্রেনিং সম্পূর্ণ হয়নি ৷ অর্ধেক ট্রেনিং নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে ।" তবে এই বিষয়ে বংশিহারী ব্লকের বিডিও সুব্রত বল ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি । তিনি জানান, পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করলেও গাড়ি সময় মতো আসেনি ৷ তাই এই সমস্যা ৷
আরও পড়ুন: