বোলপুর, 21 জানুয়ারি: 22 জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন । তা নিয়ে দেশজুড়ে 'রাম রব'। ফুল থেকে শুরু করে আলোয় মালায় সেজে উঠছে অযোধ্যা ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ দেশের বিশিষ্টরা সোমবার অংশ নেবেন এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে। ওই দিন দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থায় অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে মোদি সরকার । সেই মতো নিজস্ব ওয়েবসাইটে অর্ধদিবস ছুটির কথা উল্লেখ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও।
22 জানুয়ারি বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনে, বিভাগে পরীক্ষা ছিল ৷ সেই পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে । অথচ এরপর দিন 23 জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। সেদিন দেখা যাচ্ছে ছুটি তো নেই, রবং পরীক্ষা আছে ৷ তা নিয়ে আক্ষেপ ও ক্ষোভ বিশ্বভারতীর একাংশ অধ্যাপক-পড়ুয়াদের ৷
প্রসঙ্গত, সুভাষচন্দ্র বসুকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁকে 'দেশনায়ক' বলেও অভিহিত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, নেতাজিকে স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন বিশ্বকবি ৷ সেই নেতাজির জন্মদিন জ্ঞানমন্দির বিশ্বভারতীতে উদযাপন হয় না । তাঁর জন্মদিনে কোন ছুটিও নেই ৷ অথচ, রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে অর্ধদিবস ছুটি গুরুদেবের বিশ্বভারতীতে । পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের মতে নেতাজি শুধুমাত্র বাঙালির আবেগ নয়, দেশের আবেগ ৷ দেশের স্বাধীনতায় তাঁর অবদান অবিস্মরণীয় ।
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, "রাম মন্দির উদ্বোধন বলে পরীক্ষা পিছিয়ে অর্ধদিবস ছুটি দেওয়া হয়েছে । অথচ নেতাজির জন্মদিনে ছুটি নেই ৷ যে নেতাজিকে গুরুদেব 'দেশনায়ক' বলেছিলেন সেই নেতাজিই ব্রাত্য! এটা সত্যিই আক্ষেপের ।" বিশ্বভারতীর গবেষক ছাত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, "ইতিহাস বদলে দিতে চাওয়া হচ্ছে । রাম মন্দির উদ্বোধন হবে তার জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে ছুটি দেওয়া হয়েছে ৷ আর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে ছুটি নেই। কোনও আলোচনা নেই, সেমিনার নেই, অথচ পরীক্ষা আছে । নেতাজি প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই ৷ এ কোন পথে যাচ্ছে আমাদের দেশ ।"
আরও পড়ুন: