দুর্গাপুর, 5 মে: সিপিএম প্রার্থীর সমর্থনে ভোট প্রচারে এসে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তরুণ রায় । তিনি বলেন, "এক বুক ব্যথা নিয়েও কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার কথা বলছি সাধারণ মানুষকে । তবে আমরা কি সাঁইবাড়ির নৃশংস হত্যাকাণ্ড, আনন্দমার্গীদের হত্যা অথবা নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর, নেতাইয়ের ঘটনা ভুলতে পারি? সিপিএমের নেতারাও তো 72 সালের কথা বলে থাকেন। সেটা সত্য ৷ সেই সত্য এক বুক ব্যথা হয়ে জমে আছে । আমি সেই সত্যই বললাম এতে বিতর্কের কিছু নেই ।"
কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হয়েছে । অস্বস্তিতে পড়েছেন বাম নেতারা । তরুণ রায়ের মুখে বাম জামানার সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড, আনন্দমার্গী হত্যাকাণ্ড, নেতাই, নন্দীগ্রামের গণহত্যার প্রসঙ্গ উঠে আসার কারণে কংগ্রেস এবং সিপিএমের সম্পর্কে তাহলে কি শিল্প শহরে ফাটল ধরবে? যদিও তরুণের দাবি, "সিপিএম প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন ।"
বহু জট জটিলতা কাটার পর শেষমেষ এ রাজ্যের 42টি লোকসভা আসনের মধ্যে বেশিরভাগ আসনে সমঝোতা করে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট । তবে বেশ কিছু আসনে সমঝোতা নিয়ে জটিলতাও রয়ে গিয়েছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রথমে দেওয়াল লিখনে কংগ্রেস প্রার্থীর নাম উঠে আসে । কিন্তু পরবর্তীতে এখানে সিপিএমের ড: সুকৃতি ঘোষালকে নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হয় । সুকৃতির প্রচার শুরু হওয়ার প্রথম বেশ কিছুদিন দেখা যায়নি কংগ্রেস নেতাকর্মীদের । পরে কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা সিপিএমের সঙ্গে একযোগে প্রচারে নামেন । রবিবার সকলে মিলে দুর্গাপুরের জমজমাট প্রচার চলল ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী প্রচার সারছেন ৷ রবিবার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষও সকাল থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন ৷ একদিকে তাপপ্রবাহ অন্যদিকে রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ চড়ায় রবিবারসীয় সকাল থেকেই পুড়ছে দুর্গাপুর । আর এমন দিনে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী সদস্য তরুণ রায় দুর্গাপুরের নেতাজি সুভাষ রোডে একটি জলছত্রের মধ্য দিয়ে বাম, কংগ্রেস ও আরজেডির সমর্থিত প্রার্থী প্রকৃতি ঘোষালের সমর্থনে প্রচার করেন । সেখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: