কলকাতা, 31 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে গেলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। তবে আরজি করে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা প্রথম থেকেই কোনও নেতা বা কোনও রাজনৈতিক দলকে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে দিতে চাননি। তার ফলে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে এর পুরো দায়ভার তিনি চাপিয়েছেন কলকাতা পুলিশের উপর।
অধীরের কথায়, "বর্তমানে কলকাতা পুলিশ বজ্রআঁটুনি ফোস্কা গেরো। যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে ৷ তথ্য লোপাট থেকে শুরু করে ঘরের মেয়ের প্রাণ চলে যাওয়া- সব হয়েছে। তখন পুলিশের কোনও হেলদোল ছিল না। সেদিন এই পুলিশ আমাদের ঘরের মেয়ের পক্ষে থাকত তাহলে অপরাধীরা, কেউ পালাতে পারত না। চোর পালিয়েছে কলকাতা এখন পুলিশের বুদ্ধি বাড়ছে।"
এর পাশাপাশি অধীরের অভিযোগ, সোদপুরে ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কলকাতা পুলিশ ওই বাড়িটিকে পুরোপুরি ঘিরে রেখেছে। তিনি বলেন, "বাড়ি থেকে তাঁদেরকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী প্রথম দিন ওই মেয়েটির বাড়িতে দেহ পৌঁছনোর পর পুলিশের তরফে পরিবারকে টাকা পর্যন্ত অফার দেওয়া হয়। তার কারণে বলা হয় কলকাতা পুলিশ যা চাইছে তাই করতে দেওয়া হোক।" অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের চিকিৎসক সেলের এক চিকিৎসক।
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তনী তিনি। কিন্তু তাঁকেও আজ ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মূলত অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন হাসপাতালে এসেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সমবেদনা ও সমর্থন জানাতে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, "সাধারণ মানুষ হয়েই আমি এসেছি ৷ যে আন্দোলন চিকিৎসকরা চালাচ্ছেন তাতে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।"