কলকাতা, 23 জানুয়ারি: সংহতি যাত্রার মিছিলেও তৃণমূলের নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্বের ছাপ ৷ সোমবার এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে । যার নেতৃত্বে ছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কালীঘাটে পুজো দিয়ে হাজরা মোড় থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত এই মিছিলের আগাগোড়াই নেতৃত্বে ছিলেন মমতা । তবে এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
মিছিল উপলক্ষ্যে দলের তরফে ব্যানার লাগানো হয়েছিল ৷ প্রায় দু-একটি করে ল্যাম্প পোস্ট ছেড়ে ছেড়েই ছিল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি । তবে সেখানেও প্রবীণ নবীন দ্বন্দ্ব স্পষ্ট । শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ব্যানারগুলোর তলায় লেখা ছিল তৃণমূল কংগ্রেস । আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া প্রতিটি ব্যানার ছিল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ।
এই মিছিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে হাঁটতে । সেখানে বাকি নেতৃত্ব ছিলেন পিছনে । তবে সেখানে সুস্পষ্ট ভাব হয়েছিল । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ শান্তনু সেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজিত বসুদের হাঁটতে দেখা গিয়েছে । তার বেশ খানিকটা দূরে হাঁটছিলেন কলকাতার মেয়র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর । এই দুই ঘটনাই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তুলেছে তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস কি নেতৃত্ব হিসেবে শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাধান্য দিতে চায়, আর সেই ইঙ্গিত মিলল ব্যানারে ?
দ্বিতীয়টি অবশ্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমদের দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটা । যদিও এই দুই বিষয় মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব । তাদের বক্তব্য, দলের সব প্রজন্ম একই মিছিলে পা মিলিয়েছেন এটাই আসল । কে সামনে কে পিছনে বা কে কার সঙ্গে সেটা বড় বিষয় নয় । কারণ সকলেই দলের সৈনিক । ব্যানারের ক্ষেত্রেও দু'জনের ছবি দেওয়া ব্যানার ছিল একজনেরও ছিল । এর থেকে আলাদা কোনো ইঙ্গিত না করাই ভালো ।
আরও পড়ুন :