দুর্গাপুর, 25 জুন: বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে কাঁকসা থানার পানাগড়ের মীরেপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ হাবিবুল্লাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ । কাঁকসা থানায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানানো হয় এসটিএফ-এর পক্ষ থেকে। এবার নদিয়ার মায়াপুরের মোল্লাপাড়ার এক বাসিন্দাকে উত্তর 24 পরগনার আমডাঙা থেকে জঙ্গি যোগে গ্রেফতার করা হল ৷ ধৃতের নাম হারেজ শেখ । জানা গিয়েছে, মহম্মদ হাবিবুল্লা মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে।
মেধাবী এই ছাত্রের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের ওতপ্রোত যোগ খুঁজে পেয়েছেন এসটিএফের কর্তারা । তার বাড়ি থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তাকে তোলা হলে এসটিএফ 14 দিনের হেফাজতে পায় মহম্মদ হাবিবুল্লাকে। এসটিএফ কর্তারা এরপর উত্তর 24 পরগনার আমডাঙা থেকে গ্রেফতার করে হারেজ শেখকে । মঙ্গলবার তাকেও দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে 14 দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ৷
27 বছরের হারেজ শেখের সঙ্গে মহম্মদ হাবিবুল্লার কীরকম যোগ ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন এসটিএফ কর্তারা । জঙ্গি যোগে এই রাজ্যের কাঁকসার পানাগড়ের পরে এবার মায়াপুরের মোল্লাপাড়ার হারেজ শেখের গ্রেফতারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ।
এনিয়ে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল আগেই বলেছিলেন, "পানাগড়, বারুইপুর, সোনারপুরে বারবার এরকম ঘটনা দেখছি। এটা প্রথমবার নয়। পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের থাকার জন্য অত্যন্ত শান্তির জায়গা । সারা ভারতবর্ষে যখন কোনও সন্ত্রাসবাদী ধরা পড়ছে, যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা বলছে, আমরা তো পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছি। কারণ, তারা জানে পশ্চিমবঙ্গে থাকলে এখানকার পুলিশ তাদের বিরক্ত করে না । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই সব সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছেন ।"