জলপাইগুড়ি, 12 অগস্ট: জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল ও হাসপাতালের আউটপোস্টের জন্য রাজ্য পুলিশের এডিজিকে চিঠি দিল কলেজ কর্তপক্ষ। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নজরদারি বাড়াতে সিসিটিভি লাগানোর জন্য 5 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করল স্বাস্থ্য বিভাগ।কোথায় কোথায় সিসিটিভি লাগানো যায়, তা পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এদিন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নজরদারি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হল হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে।
এদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার দেব বলেন," আজ আমাদের কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক হল। বৈঠকে সমস্ত বিভাগের হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট ছিলেন। এছাড়া, পুলিশ আধিকারিকরা ছিলেন। পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা ছিলেন। আমাদের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোথায় কোথায় নিরাপত্তারক্ষী রাখা দররকার, সিসিটিভি কোথায় দরকার এর পাশাপাশি ডাক্তারদের ডিউটি রুমের পরিকাঠামো উন্নতি করা হচ্ছে। আমরা পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলে ডিউটি রুম পুরুষ, মহিলা করার ব্যবস্থা করছি। সিসি ক্যামেরা কোনটা ভালো কোনটা খারাপ সেটা দেখা হবে।"
হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে অনুমতি নিয়ে সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। মেডিক্য়াল কলেজের অধিনে থাকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে-সহ মাদার এন্ড চাইল্ড হাব, সদর হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়ে আরও সিসিটিভি লাগানে হবে বলেও জানান তিনি। অধ্যক্ষের কথায়, "এখন আমাদের প্রায় 80-85টি সিসিটিভি লাগানো হবে। সিসিটিভি মনিটরিংয়ের জন্য পুলিশ ও আমাদের টিম থাকবে। পুলিশ পরিদর্শন করে কোথায় কোথায় সিসিটিভি লাগানো যাবে তা জানাবে। সিসিটিভি মনিটরিং পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের টিম থাকছে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী কম আছে। কলেজের হস্টেলে সিকিউরিটি আছে। আমরা পুলিশের এডিজিকে হাসপাতালে আউট পোস্টের কথা লিখে চিঠি করা হয়েছে। তারা আমাদের কাছে ঘর চেয়েছেন সেটা আমরা দিতে পারছি না। আগামিকাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কাজ করবে না বলেছে। আমরা তাদেরকে বুঝিয়েছি।তবে আউটডোর কোনওভাবেই বন্ধ আমরা করছি না। ডাক্তারবাবুদের দিয়ে কাজ চালাব আমরা।"
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানান, নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাসপাতালে আরও সিসিটিভি লাগানো হবে। কীভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। কোথায় কোথায় সিসিটিভি লাগানো যায় তা দেখা হল।