দার্জিলিং, 30 সেপ্টেম্বর: কুড়ি শতাংশ বোনাসের দাবিতে চা-বাগান শ্রমিকদের আটটি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা বনধকে সমর্থন করেন না বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, "পাহাড়ে কোনও বনধ হয়নি ৷ আর বাংলায় বনধ হয় না ৷" তবে, চা-বাগান শ্রমিকদের যে দাবি, সেখানে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানিয়েছেন ৷ শ্রম দফতরের ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ৷
সোমবার কলকাতা ফেরার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে মমতা বলেন, "আমি বনধ সমর্থন করি না ৷ ওঁদের যা দাবি, সেটা নিয়ে শ্রম দফতরের তরফে ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চলছে ৷ সেখানে সমস্যার সমাধান করা হবে ৷ কেউ কেউ এটাকে নিয়ে রাজনীতি করছে ৷ আমি এখানে হস্তক্ষেপ করব না ৷ শ্রম দফতর সিদ্ধান্ত নেবে ৷ আর কোনও বনধ হয়নি ৷ বাংলায় বনধ হয় না ৷"
উল্লেখ্য, তরাই-ডুয়ার্স ও পাহাড়ে পুজোয় 20 শতাংশ বোনাসের দাবিতে 12 ঘণ্টার বনধ ডেকেছে চা-বাগান শ্রমিকদের 8টি ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ ৷ 2017 সালে শেষবার পাহাড়ে বনধ হয়েছিল ৷ পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে 100 দিনেরও বেশি বনধ ডেকেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-সহ অন্যান্য দলগুলি ৷ তার 8 বছর পর, ফের পাহাড়ে বনধের ডাক ৷ তবে, এবার চা-বাগান শ্রমিকদের পুজো বোনাসের দাবিতে ৷ এই বনধের জেরে পুজোর আগে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা বিপাকে পড়েছেন ৷
উল্লেখ্য, চা-বাগান শ্রমিকদের পুজোর বোনাসের দাবি নিয়ে রবিবার রাত পর্যন্ত মোট চারটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে ৷ গতকাল রাতের শেষ বৈঠকও ভেস্তে গিয়েছে ৷ শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপে চা-বাগানের মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৷ সেই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরেই, আজ সকাল থেকে 12 ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ ৷ মুখ্যমন্ত্রী বনধ হচ্ছে না বলে দাবি করলেও, এ দিন সকাল থেকে বনধের ব্যাপক প্রভাব দেখা গিয়েছে ৷
আজ সকালে রোহিণী টোল গেটে পর্যটকদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় ৷ রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান বনধ সমর্থকরা । যার জেরে রোহিণী টোলগেটের দুই প্রান্তে পর্যটকদের গাড়ির লাইন পড়ে যায় ৷ একাংশ পর্যটকদের সঙ্গে বচসায় জড়ান বনধ সমর্থনকারীরা ৷ তবে, জরুরি পরিষেবার গাড়িগুলিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে ৷ বনধ সমর্থকদের মতে, চা-বাগান শ্রমিকদের সমস্যার কথা পর্যটকদেরও জানা দরকার । জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা ৷