দিঘা, 11 ডিসেম্বর: কাজ প্রায় শেষের পথে। আর মাস তিনেকের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে দিঘার নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিরের কাজ। এরপর আগামী বছরের অক্ষয়া তৃতীয়ায়, মানে 30 এপ্রিল, মন্দিরে উদ্বোধন হবে বলে বুধবার জানালেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মন্দির উদ্বোধনের পর এবার থেকে শুরু হবে রথযাত্রা । প্রশাসন সূত্রে খবর, মোট 20 একর জায়গায় তৈরি হয়েছে এই মন্দির।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন এবারের রথযাত্রার সূচনা তিনি করবেন বলে । প্রতি বছর কলকাতার ইসকন মন্দিরে রথযাত্রার সূচনা করেন তিনি । এবার থাকবেন দিঘার মন্দিরে। কলকাতার ইসকনে যাবেন উল্টোরথের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। শুধু তাই নয়, রথযাত্রা শুরুর আগে সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করা হয় পুরীতে। এখানেও তা হবে। আর এই সোনার ঝাড়ুর জন্য মুখ্যমন্ত্রী 5 লাখ টাকা দেবেন। সরকারি কোষাগার নয়, তাঁর ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকেই এই অর্থ দেবেন বলে মমতা জানান ।
2019 সালে মমতা প্রথম জানান, দিঘায় এই জগন্নাথ মন্দির তৈরি হবে । করোনার সময় সেই প্রক্রিয়া খানিক ধাক্কা খায়। এরপর ফের মন্দিরের কাজ শুরু হয়। কাজ কতটা হল তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বিকেলেই দিঘায় পৌঁছে যান মমতা। এরপর বুধবার দীর্ঘ সময় ধরে মন্দিরের বিভিন্ন অংশের কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানান, মন্দিরের বাকি থাকা কাজ শেষ করতে এবং মন্দির পরিচালন করতে একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করেছে সরকার। তাতে মোট 13 জন সদস্য থাকছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে অবশ্য এই বোর্ডে থাকছেন না। এই 13 জনের মধ্যে পুরীর মন্দিরের পাঁচ প্রতিনিধি থাকবেন । আরও চারজন থাকছেন সনাতনী প্রতিনিধি হিসেবে। এর পাশাপাশি ট্রাস্টি বোর্ডের নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদেরও ট্রাস্টি বোর্ডে রাখা হয়েছে বলে মমতা জানান।
মন্দিরের কোথায় কী থাকবে তাও আজ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানন, মন্দিরের প্রবেশদ্বারে চৈতন্য মহাপ্রভুর একটি মূর্তি থাকবে। আর ওই প্রবেশদ্বারের নাম হবে চৈতন্যদ্বার জগন্নাথ ধাম। তাছাড়া পুরীর মন্দিরের মতো প্রতিদিন ধ্বজা তোলার ব্যবস্থাও থাকবে। নিরাপত্তার দিকটা মাথায় রেখে পুলিশ পোস্ট হবে। মন্দির চত্বরে বাংলার গজা থেকে শুরু করে গুজিয়া এবং প্যাঁড়া পাওয়া যাবে বলে মমতা জানান ।