কলকাতা, 9 জুলাই: তেলাপিয়া মাছ নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে ৷ তাতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার নবান্নে বাজার দর নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার কমিটি ও টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এখানেই এই তেলাপিয়া মাছকে কেন্দ্র করে যে বিভ্রান্তিকর প্রচার চলছে, তা নিয়ে সরব হন তিনি ৷
এদিনের বৈঠকে 'জল ধরো জল ভরো' প্রকল্পের পুকুরগুলিকে মাছ চাষের কাজে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন তিনি বলেন, "মৎস্য দফতর দেখার জন্য বোধহয় ভালো লোক নেই ৷ ডিম উৎপাদনে আগামী ডিসেম্বর মাসে আমরা আত্মনির্ভর হয়ে যাব ৷" মাছ চাষের ক্ষেত্রে বাংলা কতদূর এগিয়ে, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একটা বড় মাছ তৈরি হতে প্রায় দু’বছর সময় লাগে ৷ রাজ্যে সরকারের হাতে যে 70টি এগ্রো পন্ড রয়েছে, সেই সব পুকুরগুলির কী পরিস্থিতি, তা জানতে চান ৷
এদিনের বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে বহু পুকুর কাটা হয়েছে ৷ সেগুলি যদি মাছ চাষে ব্যবহার করা হয়, তবে রাজ্যের চাহিদা মিটতে পারে ৷" এদিন মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের কাছ থেকে জানতে চান তেলাপিয়া মাছ নিয়ে কোনও রিপোর্ট আছে কি না! তেলাপিয়া মাছ এই রাজ্যের মানুষ বেশি খায়। এই মাছ শরীরে কোনও খারাপ প্রভাব ফেলে কি না তা নিয়েও বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে মৎস্য দফতরকে । কিন্তু কোনও খারাপ রিপোর্ট পাওয়া যায়নি ৷
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "তেলাপিয়া মাছ নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে ৷ যদি কোনওভাবে এই মাছ শরীরে খারাপ প্রভাব না ফেলে তাহলে কারা রটালো, তেলাপিয়া মাছ খেলে ক্যান্সার হয় ৷ যারা এসব মিথ্যা রটাচ্ছে, তাহলে এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনও দুষ্ট চক্র কাজ করছে ৷ কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ৷"
নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তেলাপিয়া মাছ থেকে শরীরে কোনও ক্ষতি হয় না ৷ মিথ্যে প্রচারে কান দেবেন না ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মাছ উৎপাদনে কীভাবে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি, তা আমাদের ভাবতে হবে ৷ এক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে কীভাবে মাছ চাষ বাড়ানো হয় তা ভাবতে হবে ৷"