ETV Bharat / state

মমতার জোট-ধর্ম, উদ্ধবদের প্রচারে যাবেন নেত্রী - MAMATA MUMBAI VISIT - MAMATA MUMBAI VISIT

Mamata Meets Uddhav-Pawar: মুম্বইতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক কাজকর্মও সারলেন ৷ দেখা করলেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে এবং প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ৷ যদিও এই সাক্ষাৎকে পারিবারিক বলেই দাবি করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ৷

CM Mamata Banerjee with Uddhav
উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবি সৌজন্য: এএনআই)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 12, 2024, 7:57 PM IST

Updated : Jul 12, 2024, 9:36 PM IST

মুম্বই, 12 জুলাই: অম্বানিদের বিয়ের আমন্ত্রণে গিয়ে উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল সুপ্রিমো শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি মাতোশ্রীতে যান ৷ সেখানে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠকে আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরের হয়ে প্রচারের কথাও জানান ৷ এরপর মাতোশ্রী থেকে বেরিয়ে এনসপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়ি 'সিলভার ওক'-এ পৌঁছন মমতা ৷

এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সাফ বুঝিয়ে দেন রাজ্যে যা-ই হোক না কেন, সর্বভারতীয় স্তরে 'ইন্ডিয়া' জোটে তৃণমূল আছে ৷ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ভূয়সী প্রশংসা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনকী তাঁর পাশে থাকার বার্তাও দেন ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, "নির্বাচনের জন্য আমি এখানে আসব ৷ উদ্ধবজির জন্য প্রচার করব ৷"

এদিন মাতোশ্রীতে মমতা ও উদ্ধব সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত তৃতীয় মোদি সরকারের অবস্থা নড়বড়ে ৷ 5 বছর মেয়াদও সম্পূর্ণ হবে না ৷ তার আগেই ভেঙে যাবে ৷ এই সময় সাংবাদিকরা বিস্তারিত জানতে চাইলে মমতা বলেন, "খেলা সবে শুরু হয়েছে ৷ এবার এটা চলবে ৷"

এদিনই কেন্দ্রীয় সরকার 25 জুন তারিখটিতে 'সংবিধান হত্যা দিবস' হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছে ৷ 1975 সালের এই দিনটিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন ৷ এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়েই জরুরি অবস্থা সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে ৷ কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "মোদিজির সময়ে সবচেয়ে বেশি জরুরি অবস্থা দেখা গিয়েছে ৷ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা পাশ করেছে ৷ ক্রিমিনাল আইন পরিবর্তন হয়েছে ৷ বুঝতেই পারা যাবে না যে, কী পরিবর্তন হয়েছে ৷ কীভাবে এফআইআর করতে হবে ৷"

এদিন তিনি ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আমাদের প্রধান আদর্শ ৷ আমরা একে রক্ষা করেই চলব ৷" তবে বিজেপির শরিক দল টিডিপি বা জেডিইউ সম্পর্কে কিছুই বলতে রাজি হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

জাতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিরোধ নেই ৷ তবে রাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি- তিনটি দলেরই বিরোধী তিনি ৷ এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লড়ার জন্য তৈরি ৷ সেখানে আমরা সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারব না ৷ সিপিএমের সঙ্গে যুদ্ধ করেই আমি ক্ষমতায় এসেছি ৷ সিপিএমের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই ৷ সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি বাংলায় একসঙ্গে কাজ করলে আমায় সমস্যায় পড়তে হয় ৷ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নই আমরা ৷ কিন্তু বাংলায় নয় ৷ ইন্ডিয়া জোটে আমরা সবাই আছি একসঙ্গে ৷"

মুম্বই, 12 জুলাই: অম্বানিদের বিয়ের আমন্ত্রণে গিয়ে উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল সুপ্রিমো শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি মাতোশ্রীতে যান ৷ সেখানে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠকে আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরের হয়ে প্রচারের কথাও জানান ৷ এরপর মাতোশ্রী থেকে বেরিয়ে এনসপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়ি 'সিলভার ওক'-এ পৌঁছন মমতা ৷

এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সাফ বুঝিয়ে দেন রাজ্যে যা-ই হোক না কেন, সর্বভারতীয় স্তরে 'ইন্ডিয়া' জোটে তৃণমূল আছে ৷ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ভূয়সী প্রশংসা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনকী তাঁর পাশে থাকার বার্তাও দেন ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, "নির্বাচনের জন্য আমি এখানে আসব ৷ উদ্ধবজির জন্য প্রচার করব ৷"

এদিন মাতোশ্রীতে মমতা ও উদ্ধব সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত তৃতীয় মোদি সরকারের অবস্থা নড়বড়ে ৷ 5 বছর মেয়াদও সম্পূর্ণ হবে না ৷ তার আগেই ভেঙে যাবে ৷ এই সময় সাংবাদিকরা বিস্তারিত জানতে চাইলে মমতা বলেন, "খেলা সবে শুরু হয়েছে ৷ এবার এটা চলবে ৷"

এদিনই কেন্দ্রীয় সরকার 25 জুন তারিখটিতে 'সংবিধান হত্যা দিবস' হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছে ৷ 1975 সালের এই দিনটিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন ৷ এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়েই জরুরি অবস্থা সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে ৷ কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "মোদিজির সময়ে সবচেয়ে বেশি জরুরি অবস্থা দেখা গিয়েছে ৷ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা পাশ করেছে ৷ ক্রিমিনাল আইন পরিবর্তন হয়েছে ৷ বুঝতেই পারা যাবে না যে, কী পরিবর্তন হয়েছে ৷ কীভাবে এফআইআর করতে হবে ৷"

এদিন তিনি ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আমাদের প্রধান আদর্শ ৷ আমরা একে রক্ষা করেই চলব ৷" তবে বিজেপির শরিক দল টিডিপি বা জেডিইউ সম্পর্কে কিছুই বলতে রাজি হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

জাতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিরোধ নেই ৷ তবে রাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি- তিনটি দলেরই বিরোধী তিনি ৷ এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লড়ার জন্য তৈরি ৷ সেখানে আমরা সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারব না ৷ সিপিএমের সঙ্গে যুদ্ধ করেই আমি ক্ষমতায় এসেছি ৷ সিপিএমের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই ৷ সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি বাংলায় একসঙ্গে কাজ করলে আমায় সমস্যায় পড়তে হয় ৷ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নই আমরা ৷ কিন্তু বাংলায় নয় ৷ ইন্ডিয়া জোটে আমরা সবাই আছি একসঙ্গে ৷"

Last Updated : Jul 12, 2024, 9:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.