কলকাতা, 29 জানুয়ারি: উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজ কোচবিহারে প্রশাসনিক সভা করার কথা রয়েছে তাঁর । আর কোচবিহারের এই প্রশাসনিক সভা থেকে উত্তরবঙ্গের রাজবংশী মানুষের জন্য বড় ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী । এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্র থেকে যতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে সোমবার উত্তরবঙ্গের মাটি থেকে রাজবংশী ভাষাকে নিয়ে বড় ঘোষণা করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
স্কুল শিক্ষায় রাজবংশী ভাষা আগেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে । এবার এই শহরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে রাজবংশী ভাষায় 192টি স্কুলের অনুমোদন দিতে পারে রাজ্য সরকার । লোকসভা কেন্দ্রগুলির দিকে নজর দিলে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি আসন যথাক্রমে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে এই রাজবংশী ভোটই ফ্যাক্টর । এক্ষেত্রে কোচবিহারে রাজবংশী ভোট রয়েছে বাষট্টি শতাংশ । জলপাইগুড়িতে 50 শতাংশ, রায়গঞ্জে রয়েছে 52 শতাংশ, বালুরঘাটে রয়েছে 48 শতাংশ ৷ তুলনামূলক কিছুটা কম হলেও আলিপুরদুয়ারে রাজবংশী ভোট রয়েছে 38 শতাংশ ।
দক্ষিণবঙ্গে যেমন একাধিক আসনে মতুয়া ভোটের প্রভাব রয়েছে ৷ একইভাবে উত্তরবঙ্গের এই পাঁচ লোকসভা আসনে মতুয়া ভোট হল ফ্যাক্টর । সেই জায়গা থেকে এ দিন মতুয়াদের মন পেতে একগুচ্ছ ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এই 192টি স্কুলে রাজবংশী ভাষায় পড়ানোর জন্য অনুমোদন । এখনও পর্যন্ত সরকারি সূত্রে খবর, শুধু কোচবিহার জেলাতেই সোমবার রাজবংশী ভাষায় পঠন-পাঠনের জন্য অনুমোদন পেতে চলেছে 120টি স্কুল । আর বাকি 72টি স্কুল রয়েছে অন্য চার জেলায় । জানা গিয়েছে, এই 192টি স্কুলে পঠন পাঠনের জন্য যতসংখ্যক শিক্ষকের প্রয়োজন তার বেশিরভাগটাই নেওয়া হবে এই পাঁচ জেলা থেকে । প্রথম অবস্থায় প্যারা টিচারের মাধ্যমে এই স্কুলগুলিতে পঠন-পাঠন চলবে ৷ পরবর্তীতে এসএসসি'র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হবে বলে জানা গিয়েছে ।
প্রসঙ্গত, গত ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে মূলত স্থানীয় আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে সেখানে ভালো ফল করেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । ধূপগুড়ি মহাকুমা করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের ৷ সেই দাবিকে মাথায় রেখেই ঘোষণা করা হয়েছিল ভোটে জিতলে ধূপগুড়িকে মহাকুমা করা হবে । এবার লোকসভা নির্বাচনের আগেও একই পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল । এক্ষেত্রে স্থানীয় সমস্যা এবং স্থানীয় দাবিকেই বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে ভোটে লড়তে চাইছে রাজ্য সরকার । রাজনৈতিক মহলের তরফে মনে করা হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে একসঙ্গে 192টি রাজবংশী ভাষার স্কুলের অনুমোদন উত্তরবঙ্গের পাঁচ রাজবংশী অধ্যুষিত জেলার মানুষের জন্য একটা বড় প্রাপ্তি হতে চলেছে ।
আরও পড়ুন: