ETV Bharat / state

সীমান্তে অনুপ্রবেশে দায়ী বিএসএফ, কেন্দ্রের ব্লুপ্রিন্টেই অশান্তির ছক: মমতা - MAMATA ACCUSES BSF

সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফের ঘাড়ে দোষ চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এ দিন তাঁর নিশানায় ছিল কেন্দ্রীয় সরকারও ৷

CM Mamata Banerjee
বিএসএফকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 2, 2025, 4:46 PM IST

কলকাতা, 2 জানুয়ারি: সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যে বিএসএফের হাতে রয়েছে, তারাই অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী । বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধু তাই নয়, রাজ্যে অশান্তির পেছনে কেন্দ্রের ব্লুপ্রিন্ট রয়েছে বলেও এদিন নরেন্দ্র মোদি সরকারের দিকে তোপ দাগেন তিনি ।

এ দিন নবান্ন সভাঘর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সীমান্তে লোক ঢোকাচ্ছে বিএসএফ । ইসলামপুর, সিতাই এবং চোপড়া দিয়ে লোক ঢোকানো হচ্ছে ৷ আমাদের কাছে খবর আছে । বিএসএফ মেয়েদের উপর অত্যাচার করছে ।"

এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমারকে দায়িত্ব দেন কোন কোন সীমান্ত দিয়ে লোক ঢুকছে, এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে । মমতার কথায়, "সীমান্তের দায়িত্ব আমাদের নয় । সীমান্তের দায়িত্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে । যাঁরা বাইরে থেকে আসেন, তাঁদের ভিসাও আমাদের হাতে নেই । রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে । এই সংক্রান্ত তথ্য আমাদের কাছে থাকে না, ফলে আমরা জানতে পারি না কারা আসছেন ।"

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেউ যদি মনে করেন, অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে বাংলাকে বদনাম করব, সেটা হবে না ৷ এই কাজ তৃণমূল কংগ্রেস করছে না । তৃণমূল কংগ্রেসের এসব করার অধিকার নেই, সাধ্যও নেই । এলাকাটা নিয়ন্ত্রণ করে বিএসএফ । কেউ কেউ তা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে । বিএসএফের দায়িত্ব উপেক্ষা করে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে । আমি বলব সংযত হন, সংবেদনশীল হন । আমি কিছু কিছু স্থানীয়দের থেকে তথ্য পেয়েছি । ডিজি রাজীব কুমারও কিছু তথ্য দিয়েছেন । আমি সবিস্তারে তথ্য চেয়েছি, এই নিয়ে কড়া চিঠি লিখব ।"

এসব বলতে গিয়েই এ দিন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন এসব করা হচ্ছে । আমরা তো চাই ওখানেও শান্তি থাক, এখানেও শান্তি থাক । দুই বাংলার মধ্যে তো কখনওই খারাপ সম্পর্ক নেই । চিরকাল আমরা এক ভাষায় কথা বলি । চিকিৎসার কারণে কেউ কেউ আসতেই পারেন । মানবিকতার কারণেও কেউ কেউ আসতেই পারে । আমি তাঁদের কথা বলছি না ।"

তাঁর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে । বর্ডার পেরিয়ে এসে খুন করছে এমন লোকদের পাঠানো হচ্ছে । এটা বিএসএফের অনেক ভেতরকার কাজ ।" বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, এর পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্লুপ্রিন্ট আছে । কেন্দ্রের মদত না থাকলে এটা হত না ।

তাঁর সংযোজন, "বারবার বলা হয়েছে এক্ষেত্রে (বাংলাদেশ নিয়ে) আপনারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই আমাদের পথ । কিন্তু আমরা যদি দেখি আমাদের রাজ্যে হানা দেওয়ার জন্য জঙ্গিদের মদত দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে । আর সেই জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিবাদপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ।"

সীমান্তবর্তী জেলার কোন কোন এলাকার পুলিশ বিএসএফকে মদত দিচ্ছে, এ বিষয়ে ডিজি রাজীব কুমারের কাছে আগামী 15 দিনের মধ্যে রিপোর্টও চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একই সঙ্গে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ।

ওপার বাংলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি ৷ এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে গোটা রাজ্যের চোখ রয়েছে সীমান্তের দিকে, ঠিক তখন বিএসএফের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তোলা এই অভিযোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।

কলকাতা, 2 জানুয়ারি: সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যে বিএসএফের হাতে রয়েছে, তারাই অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী । বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধু তাই নয়, রাজ্যে অশান্তির পেছনে কেন্দ্রের ব্লুপ্রিন্ট রয়েছে বলেও এদিন নরেন্দ্র মোদি সরকারের দিকে তোপ দাগেন তিনি ।

এ দিন নবান্ন সভাঘর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সীমান্তে লোক ঢোকাচ্ছে বিএসএফ । ইসলামপুর, সিতাই এবং চোপড়া দিয়ে লোক ঢোকানো হচ্ছে ৷ আমাদের কাছে খবর আছে । বিএসএফ মেয়েদের উপর অত্যাচার করছে ।"

এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমারকে দায়িত্ব দেন কোন কোন সীমান্ত দিয়ে লোক ঢুকছে, এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে । মমতার কথায়, "সীমান্তের দায়িত্ব আমাদের নয় । সীমান্তের দায়িত্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে । যাঁরা বাইরে থেকে আসেন, তাঁদের ভিসাও আমাদের হাতে নেই । রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে । এই সংক্রান্ত তথ্য আমাদের কাছে থাকে না, ফলে আমরা জানতে পারি না কারা আসছেন ।"

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেউ যদি মনে করেন, অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে বাংলাকে বদনাম করব, সেটা হবে না ৷ এই কাজ তৃণমূল কংগ্রেস করছে না । তৃণমূল কংগ্রেসের এসব করার অধিকার নেই, সাধ্যও নেই । এলাকাটা নিয়ন্ত্রণ করে বিএসএফ । কেউ কেউ তা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে । বিএসএফের দায়িত্ব উপেক্ষা করে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে । আমি বলব সংযত হন, সংবেদনশীল হন । আমি কিছু কিছু স্থানীয়দের থেকে তথ্য পেয়েছি । ডিজি রাজীব কুমারও কিছু তথ্য দিয়েছেন । আমি সবিস্তারে তথ্য চেয়েছি, এই নিয়ে কড়া চিঠি লিখব ।"

এসব বলতে গিয়েই এ দিন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন এসব করা হচ্ছে । আমরা তো চাই ওখানেও শান্তি থাক, এখানেও শান্তি থাক । দুই বাংলার মধ্যে তো কখনওই খারাপ সম্পর্ক নেই । চিরকাল আমরা এক ভাষায় কথা বলি । চিকিৎসার কারণে কেউ কেউ আসতেই পারেন । মানবিকতার কারণেও কেউ কেউ আসতেই পারে । আমি তাঁদের কথা বলছি না ।"

তাঁর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে । বর্ডার পেরিয়ে এসে খুন করছে এমন লোকদের পাঠানো হচ্ছে । এটা বিএসএফের অনেক ভেতরকার কাজ ।" বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, এর পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্লুপ্রিন্ট আছে । কেন্দ্রের মদত না থাকলে এটা হত না ।

তাঁর সংযোজন, "বারবার বলা হয়েছে এক্ষেত্রে (বাংলাদেশ নিয়ে) আপনারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই আমাদের পথ । কিন্তু আমরা যদি দেখি আমাদের রাজ্যে হানা দেওয়ার জন্য জঙ্গিদের মদত দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে । আর সেই জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিবাদপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ।"

সীমান্তবর্তী জেলার কোন কোন এলাকার পুলিশ বিএসএফকে মদত দিচ্ছে, এ বিষয়ে ডিজি রাজীব কুমারের কাছে আগামী 15 দিনের মধ্যে রিপোর্টও চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একই সঙ্গে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ।

ওপার বাংলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি ৷ এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে গোটা রাজ্যের চোখ রয়েছে সীমান্তের দিকে, ঠিক তখন বিএসএফের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তোলা এই অভিযোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.