শিলিগুড়ি, 13 মার্চ: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অনেক মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেয়। অনেক সময় তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বা অনেকে অসুস্থ হলে চিকিৎসা করাতে হিমশিম খায় পরিবার। এবার তাদের কথা চিন্তা করেই আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করার উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কার্ডকে সম্পূর্ণরকম ভাঁওতাবাজি বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রাজ্যেই পরিষেবা মেলে না, তাহলে ওই কার্ড ভীন রাজ্যে কীভাবে কাজ করবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এই কার্ডের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার পরিষেবা পাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথায়, "আমাদের রাজ্যের অনেক মানুষ বাইরে কাজ করতে যায়। অনেক শ্রমিক-মজদুর রয়েছেন। এখন তাদের জন্য একটা আলাদা স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড দিচ্ছি। যখন শরীর খারাপ হয়, তখন অনেকে ঘরে খবর পাঠায়। যে ঘরের মানুষ তা ভাববে, দেখবে। কিন্তু তাঁদের চিকিৎসা করানোর টাকা থাকে না।"
এর সঙ্গেই তিনি বলেন, "আমাদের 28 লক্ষ বাইরে কাজ করে এমন শ্রমিক-মজদুরদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আলাদা ভাবে দিচ্ছি।" এই বিষয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের আগে এসব মুখ্যমন্ত্রীর স্টান্ট। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গোটা রাজ্যে ভুরিভুরি অভিযোগ রয়েছে। কোনও কাজ করে না। অনেক হাসপাতাল ওই কার্ড নিতে চায় না। কারণ রাজ্য সরকার টাকা দেয় না। এই রাজ্যেই ওই কার্ড কাজে লাগে না। ভীন রাজ্যে তো কেউ পুছবেই না। আর পরিযায়ী শ্রমিকদের এই কার্ড কোনও কাজে লাগবে না। গোটা দেশে একটা মাত্র কার্ড কাজ করে যেটা প্রধানমন্ত্রীর আয়ুষ্মান ভারত।"
আরও পড়ুন: