তারাপীঠ, 16 জুন: তারাপীঠে পুজো দিতে এসে মৃত্যু ৷ মহাশ্মশানের রাস্তা থেকে উদ্ধার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহ ৷ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায় ৷ পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলেকে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারাপীঠ থানার পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম নিরঞ্জন দাস ৷ বয়স আনুমানিক 37 বছর ৷ বাড়ি নলহাটির 9 নম্বর ওয়ার্ডে ৷ নলহাটির জিআরপি-তে সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি ৷ শনিবার বীরভূমের নলহাটি থেকে তারাপীঠে পুজো দিতে যান তিনি ৷ এদিন গভীর রাতে শ্মশান চত্বরে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন এক ব্যক্তি ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তারাপীঠ থানার পুলিশ ৷ মৃতদেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান তাঁরা ৷ খবর দেওয়া হয় মৃতের পরিবারকে ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে মৃত নিরঞ্জনের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান । শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও করা হয় ৷ কিন্তু খোরপোষের টাকা নিয়ে বিবাদের কারণে এখনও মামলা চলছে । মামলা চললেও স্ত্রীকে বারবার ফেরাতে চাইছিলেন নিরঞ্জন । মাঝে মধ্যে স্ত্রীর কাছে কারও মারফত সেই বার্তাও পাঠাতেন । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । শেষমেশ স্ত্রীকে বাড়ি ফেরাতে তন্ত্রসাধনার সাহায্য নেন তিনি । আর সেই তন্ত্রসাধনা করতে শনিবার রাতে গিয়েছিলেন তারাপীঠ মহাশ্মশান ।
মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ছোট ভাই পল্টু দাস বলেন, "গতকাল সন্ধ্যায় ফোন করলে দাদা বলেন তিনি পুজো দিতে তারাপীঠ গিয়েছেন । এক ঘণ্টা পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় । মধ্যরাতে তারাপীঠ থানা থেকে ফোন আসে । খবর পেয়ে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে জানতে পারি দাদা মারা গিয়েছেন ।" পরিবারের দাবি, মৃত নিরঞ্জন দাসের কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন আছে । তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের ।
পরিবারের তরফে আরও দাবি, নিরঞ্জন তাঁর স্ত্রীকে ফেরানোর জন্য তারাপীঠে তন্ত্রসাধনা করতে যেতেন ৷ শনিবারও সেই উদ্দেশ্যেই গিয়েছিলেন । চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে তাঁকে ৷ ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছে মৃতের পরিবার ৷ যদিও পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই নিরঞ্জনের ।