কলকাতা ও বাঁকুড়া, 21 ফেব্রুয়ারি: মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের প্রার্থীকে শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ ৷ সেই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল সিআইডি ৷ ধৃতের নাম জেসমিন খাতুন ৷ বুধবার তাঁকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ আদালত তাঁকে আগামী 4 মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ৷
সিআইডি সূত্রের খবর, জেসমিন খাতুনের নাম স্কুলে নিয়োগের একটি প্যানেলে ছিল ৷ সেই প্যানেলের মেয়াদ 2015 সালে শেষ হয়ে যায় ৷ অথচ তাঁকে শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ করা হয় 2019 সালে ৷ অভিযোগ, নিয়োগের সময় জেসমিন খাতুনের স্বামী শেখ সিরাজুদ্দিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন ৷ তিনিই প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীর নিয়োগের ব্যবস্থা করেন ৷ তার পর 2019 সালের নভেম্বর মাসে জেসমিন বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ভতড়া শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তন হাইস্কুলে সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন ।
বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পীযূষকান্তি বেরা জানান, আদালতের নির্দেশে এফআইআর করা হয় ৷ তার পর তদন্তে নেমে সিআইডি গ্রেফতার করে ৷ তাঁর স্বামীই প্রভাব খাটিয়েছিলেন কি না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট বলতে পারেননি বর্তমান বিদ্যালয় পরিদর্শক পীযূষকান্তি বেরা ৷
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ যোগাড় করে অবশেষে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে । তাই গ্রেফতার করা হয় জেসমিনকে ৷ সিআইডি এখন খতিয়ে দেখবে যে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না !
এদিকে এ দিন এই নিয়ে অভিযুক্ত জেসমিন খাতুনের আইনজীবী সৌরিশ মুখোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনায় পদের প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ তবে যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল, সেই নিয়োগপত্রে কোনও জালিয়াতি হয়নি ৷ কিন্তু অভিযোগ যে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের প্রার্থীকে 2019 সালে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয় ৷ আগামী শুনানিতে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন করা হবে ৷
আরও পড়ুন:
